তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরুদ্ধে ২ রিটের রায় কাল

দূষণে আমরা আতঙ্কিত: হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ছবি

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক রিট আবেদনের রায় আগামীকাল মঙ্গলবার দেবেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চের আগামীকালের কার্যতালিকার প্রথমেই এই দুই রিট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

হাইকোর্টের এ আদেশের দিকে তাকিয়ে সবাই। কারণ, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছিল।

গত ৪ ডিসেম্বর রিট আবেদনের ওপর আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করে পরদিন রায় ঘোষণার তারিখ হিসেবে ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের দায়ের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ অক্টোবর বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, ২০১১ কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং এই আইনের আলোকে পূর্বের করণীয় ও কাজ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

এর আগে, ১৯ আগস্ট বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে আরেকটি হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, ২০১১ এর সাংবিধানিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরেকটি রুল জারি করেন। এই বিচারপতি এখন ছুটিতে আছেন 

আবেদনকারীরা হলেন—সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, মো. জবিরুল হক ভুঁইয়া ও জাহরাহ রহমান।

গত ১৮ আগস্ট জনস্বার্থ মামলা হিসেবে হাইকোর্টে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির পর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পরপর তিনটি ব্যর্থ নির্বাচন দেখেছে দেশ এবং এর ফলে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের অভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটে।  

রিট আবেদনকারী এবং রাষ্ট্র ছাড়াও, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল পঞ্চদশ সংশোধনীর বিরুদ্ধে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে হাইকোর্টে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago