সাময়িক বিরতি কাজে দিয়েছে লিটনের

Litton Das

প্রথম ম্যাচে পেয়েছিলেন জুতসই শুরু, এরপর টানা তিন ম্যাচ দুই অঙ্কের আগে আউট হয়ে যান লিটন দাস। পঞ্চম ম্যাচে তাই জায়গা হারান একাদশে, কিংবা নিজেই চেয়ে নেন বিশ্রাম। সাময়িক এই বিরতি কাজে লেগেছে লিটনের। ফেরার পর ৬ষ্ঠ ম্যাচে করলেন ৪৩ বলে ৭৩ রান। তার সঙ্গে শুক্রবার বড় জুটি গড়া মুনিম শাহরিয়ার জানান কীভাবে বিরতিটা কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজেছেন লিটন।

বিপিএলে এবার প্রথম ম্যাচে ২৭ বলে ৩১ করে আউটের পর ০, ২ ও ৯ রান করেন লিটন। পঞ্চম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্কোয়াডেই নাম দেখা যায়নি তার। শুক্রবার নেমে দেখান চেনা ছন্দ। চিরায়ত ঢঙে ১০ চার, ১ ছক্কায় করেন ৭৩।

গত কিছুদিন টানা খর করা পেরিয়ে ২৩ ইনিংস পর পান ফিফটি। মাঝের এই সময়টায় ওয়ানডে, টেস্ট, টি-টোয়োন্টি কোথাও ফিফটির দেখা পাচ্ছিলেন না। কখনো চল্লিশ পেরিয়ে থামছিলেন, কখনো রানের খাতা খোলার আগেই নিচ্ছিলেন বিদায়। গত ১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৮ রানের স্মরণীয় ইনিংসের পর অদ্ভুত রান খরা চলতে থাকে লিটনের ব্যাটে।

শুক্রবার সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মুনিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ বলে ১২৯ রানের জুটিতে বেশিরভাগ রানই করেছেন লিটন (৪২ বলে ৭২), সেই জুটিতে ৪৬ বলে ৫২ করেন মুনিম। যদিও ১৯৩ রান বোর্ডে জড়ো করেও ম্যাচ জিততে পারেনি ঢাকা।

ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে তারা হেরে যায় তিন উইকেটে। বিপিএলে এই নিয়ে ৬ ম্যাচ খেলে সবগুলোই হারে ঢাকা।

দল হারলেও অন্ধকারে একটু খানি আলো হচ্ছে লিটনের রানে ফেরা। খেলার পর মুনিম জানালেন মানসিক অবসাদ কাটাতে বিরতি দরকার ছিলো লিটনের, সেটা নিয়ে বাড়তি অনুশীলন করে কাজে লাগিয়েছেন,  'শুরুতেই দাদার ব্যাটের মাঝে লাগছিলো। আর বিরতিটা হয় কি... আমার মানসিকভাবে একটু স্ট্রেসে পড়ে যাই, তখন বিরতিটা দরকার হয়। দাদা এই বিরতির সময় আগে আগে অনুশীলনে এসে প্রতিদিন কাজ করেছে। উনার আত্মবিশ্বাস তৈরির জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই করেছে। আমার মনে হয় উনি পরিশ্রমের ফলটা পেয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago