তেঁতুলিয়ায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৯ ডিগ্রি

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ চলতি শীত মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে এই মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল গত ১০ জানুয়ারি ।
হালকা ও মেঘমুক্ত আকাশ হওয়ায় উত্তরের হিমেল হাওয়া সহজে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় হঠাৎ করেই তাপমাত্রার পারদ নেমে গেছে।
তাপমাত্রার এই ধারা আরও কয়েকদিন চলমান থাকার সম্ভাবনা আছে বলে জানান তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায়।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এদিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল খেটে খাওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে ।
উত্তরের জেলা বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় জেলার রিকশাচালক, দিনমজুরের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সকালে ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও উত্তরের শীতল হাওয়া ক্রমাগ্রত প্রবাহিত হওয়ার কারণে বাইরে কাজ করা কঠিন হয়ে গেছে।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী গ্রামের দিনমজুর মো. ইসলাম বলেন, সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতল হাওয়ার কারণে খোলা মাঠে কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
একই এলাকার কৃষি শ্রমিক পাকু বর্মণ বলেন শীতের হাওয়ায় হাত পা জমে যাচ্ছে। খোলা মাঠে কাজ করে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তারপরেও বোরো খেত প্রস্তুতের উপযুক্ত সময় হওয়ায় এই প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও শহরের রিকশাচালক আষারু বলেন বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৈনিক আয় কমে গেছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে চায় না এখন।
অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এই দুই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে ।
ঠাকুরগাঁও ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে প্রায় দুইশ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও শয্যার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ অনেক বেড়েছে, জানান তিনি।
Comments