ট্রাম্পের নতুন এআই প্রকল্পের সমালোচনায় ইলন মাস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স

দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) একটি বড় অবকাঠামো নির্মাণের ডাক দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে ওপেনএআই, সফটব্যাংক ও ওরাকলের মতো কোম্পানির সিইওদের নিয়ে 'স্টারগেট' নামে নতুন এআইভিত্তিক কোম্পানি খোলার ঘোষণা দেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক।

ওপেনএআই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি, যারা এআই উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে; সফটব্যাংক জাপানি বহুজাতিক বিনিয়োগ কোম্পানি এবং ওরাকল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কম্পিউটার প্রযুক্তি কোম্পানি।

'স্টারগেট' প্রকল্পে এই তিন কোম্পানি মিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ভবিষ্যতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত যেতে পারে।

মাস্কের সমালোচনার তীর এই বিনিয়োগ পরিকল্পনার দিকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি এই প্রকল্পে যুক্ত তিন কোম্পানি সম্পর্কে বলেন, 'তাদের কাছে আসলে এই অর্থ নেই।'

তিনি আরও লিখেছেন, 'সফটব্যাংকের হাতে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও কম আছে। এটি আমি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জেনেছি।'

সিএনএন জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের আগে ও পরে ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের সম্পৃক্ততা ভালোভাবে লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম কয়েকদিন বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যবিধিতে সই করার সময়েও ট্রাম্পের পাশে ছিলেন মাস্ক।

তবে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে একটি চলমান মামলায় জড়িত মাস্ক। তার দাবি, ওপেনএআই তাদের মূল অলাভজনক লক্ষ্য থেকে সরে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির কিছু অংশ কেবল বেসরকারি গ্রাহকদের জন্য তুলে রেখেছে।

হোয়াইট হাউজ অবশ্য মাস্কের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'জনগণের উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সংশ্লিষ্ট সিইওদের বক্তব্যে বিশ্বাস রাখা।'

তিনি আরও বলেন, 'এআই খাতে চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরা (যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে) অনেক এগিয়ে রয়েছে। তাই এই খাতে আমাদের বিনিয়োগ করাটা জরুরি।'

এক্স-এ মাস্কের পোস্টের জবাবে ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান লিখেন, '(আপনার দাবি) ভুল। এই প্রকল্প দেশের জন্য অনেক বড় কিছু বয়ে আনবে। বুঝতে পারছি, দেশের জন্য যা ভালো, তা সবসময় আপনার কোম্পানির জন্য আদর্শ নাও হতে পারে। তবে আশা করব এক্ষেত্রে আপনি দেশকে অগ্রাধিকার দেবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

9h ago