বন্ধ গাড়িতে ১ বছরের শিশুকন্যাকে রেখে বাবা গেলেন অফিসে, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু

সিডনি অপেরা হাউস। ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ভুলবশত এক বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে গাড়ির পেছনে রেখে যাওয়ার পর তীব্র গরমে শ্বাসরোধ হয়ে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলাবার মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা অফিসে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকালে শিশুটিকে চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে রেখে যেতেন। গতকাল সকালেও তিনি শিশুটিকে নিয়ে বাসা থেকে রওনা হন। কিন্তু চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে শিশুটিকে না রেখেই অফিসে ঢুকে যান।

এমন পরিস্থিতিতে শিশুটি সারাদিন গাড়ির ভেতর আটকে থাকে। বিকেলে ওই এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অফিস শেষে শিশুটির বাবা বিকেল ৫টার দিকে চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে গেলে বুঝতে পারেন যে তিনি শিশুটিকে সেখানে রেখে যাননি। এ অবস্থায় দ্রুত গিয়ে গাড়ির পেছনের আসনে শিশুটিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান।

সঙ্গে সঙ্গে জরুরি পরিষেবা অফিসে যোগাযোগ করলে একচন প্যারামেডিক এসে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়।

বারউড পুলিশ এরিয়া কমান্ডার সুপারিনটেনডেন্ট ক্রিস্টিন ম্যাকডোনাল্ড সাংবাদিকদের বলেছেন, 'এটি একটি চরম ট্র্যাজেডি। সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা।'

সিডনিসহ অষ্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গ্রীষ্মের সময় বাচ্চাদের গাড়িতে দীর্ঘ সময় রাখার ফলে এ রকম মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে। এই তালিকায় বাংলাদেশিরাও আছেন।

দুই বছর আগে একইরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। তিন বছর বয়সী আরিখ হাসানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি গাড়ির পেছনের আসনে। সেদিন সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ছিল ৩৪  ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ছেলেটির বাবা নেওয়াজ হাসান সেদিন সকালে তার বড় ছেলেকে গ্লেনফিল্ড পাবলিক স্কুলে ড্রপ করেন। ছোট ছেলে আরিখকে গাড়ির পেছনের সিটে রেখেই বাসায় চলে যান। বিকেলে তার মনে পড়ে ছেলের কথা। গাড়ির পেছনে গিয়ে তিনি ছেলেটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

চাইল্ড সেফটি অ্যাডভোকেট কিডসেফ জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি বছর পাঁচ হাজারের বেশি শিশুকে বন্ধ গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, 'শিশুরা বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে থাকে, কারণ তারা দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারে। এ কারণে হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi Migrant Workers Deaths Over The Years

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

9h ago