যে কারণে বাজারে নতুন কয়েন ছাড়তে নিষেধ করলেন ট্রাম্প

লুইজিয়ানা থেকে হোয়াইট হাউসে এলেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
লুইজিয়ানা থেকে হোয়াইট হাউসে এলেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগকে নতুন করে বাজারে কয়েন ছাড়তে নিষেধ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে পেনির ধাতব কয়েন উৎপাদন ও বাজারে না ছাড়ার এই অভিনব সিদ্ধান্তের পেছনে আছে সরকারি খরচ কমানোর চিন্তাধারা।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ সেন্টে এক ডলার। এক সেন্টের ধাতব মুদ্রা 'পেনি' নামে পরিচিত।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে তিনি উল্লেখ করেন, 'দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র পেনি তৈরি করেছে, যার পেছনে দুই সেন্টেরও বেশি খরচ। এটা বড় ধরনের অপচয়!'

'আমি মার্কিন অর্থমন্ত্রীকে বলেছি তিনি যেন নতুন করে আর কোনো পেনি উৎপাদন না করেন। আসুন আমরা আমাদের মহান জাতির বাজেট থেকে সব ধরনের অপচয় ছুঁড়ে ফেলে দেই। প্রতিবার এক পেনি করে হলেও।'

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। ফাইল ছবি: এএফপি
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। ফাইল ছবি: এএফপি

জানুয়ারিতে সামাজিক মাধ্যম এক্সে পেনি উৎপাদনের অযৌক্তিক খরচ নিয়ে পোস্ট দেয় ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারী কর্মদক্ষতা দপ্তর ডিওজিই। ট্রাম্প এই দপ্তরকে সরকারি খরচ কমানোর দায়িত্ব দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে পেনি উৎপাদনের খরচ নিয়ে বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলছে। ইতোমধ্যে কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বিল উত্থাপন করা হলেও তার একটিও পাস করেনি।

ট্রাম্পের এই নির্দেশ আইনপ্রণেতাদের অনুমোদন ছাড়া কার্যকর হবে না। তবে অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট নতুন পেনির উৎপাদন তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করতে পারেন—এ ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

এক পেনির মুদ্রা। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
এক পেনির মুদ্রা। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

জানুয়ারিতে নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক রবার্ট ট্রিস্ট এ বিষয়টি উল্লেখ করেন।

২০১২ সালে কানাডায় পেনি উৎপাদন বন্ধ হয়। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ কমানো একটি বড় লক্ষ্যমাত্রা। ইলন মাস্কের ডোজ (ডিওজিই) এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। সংস্থাটি বিভিন্ন খাতে সরকারি খরচ খতিয়ে দেখছে।

ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: এএফপি
ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: এএফপি

তবে ডোজ এর কিছু কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন আদালত। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে ডেমোক্র্যাট ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলো।

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Time’s List: Yunus among 100 most influential people

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has been named among TIME magazine’s 100 Most Influential People of 2025.

6h ago