দ. আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দিতে চান ট্রাম্প, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান শ্বেতাঙ্গদের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ছবি: এএফপি

ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই অবৈধ অভিবাসীদের দেশছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মেক্সিকো, কলম্বিয়া, ভারতের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের 'অশ্বেতাঙ্গ' অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু করা ট্রাম্প এবার দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, 'আফ্রিকানার' হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যার কাছে প্রত্যাশিত সাড়া পায়নি ট্রাম্পের এই ডাক। তাদের প্রায় সব লবি গ্রুপ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়ার আগে ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসকরা বেশিরভাগ কৃষিজমি শ্বেতাঙ্গদের কাছে দিয়ে যায়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত বর্ণবৈষম্যমূলক শাসনের মধ্য দিয়ে যাওয়া দেশটিতে ভূমি বৈষম্য এখনো প্রকট।

২০১৭ সালের একটি সরকারি জরিপ অনুসারে, ৮০ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ হলেও তারা মোট ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষিজমির মাত্র ৪ শতাংশের মালিক। 

অপরদিকে জনসংখ্যার মাত্র সাত শতাংশ শ্বেতাঙ্গ, যারা মোট জমির প্রায় ৭৫ শতাংশের মালিক।

দেশটির এই ঐতিহাসিক ভূমি বৈষম্য নিরসনে গত মাসে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা একটি 'ভূমি অধিগ্রহণ আইন' সই করেন।

এরপরই ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষোভের মুখে পড়ে দেশটি। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ক্যাবিনেট সদস্য ইলন মাস্কও দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারকে  কৃষ্ণাঙ্গ-নেতৃত্বাধীন সরকারকে 'বর্ণবাদী' আখ্যা দিয়ে আসছেন। 

ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্কের ইন্ধনও জড়িত বলে ধারণা করছেন অনেকে।

শুক্রবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়, 'দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্যায় জাতিগত বৈষম্যের শিকার আফ্রিকানারদের' যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে।

প্রেসিডেন্ট রামাফোসার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের দাবি, আফ্রিকানার-নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী 'আফ্রিফোরাম'-এর ছড়ানো অপতথ্যগুলোকেই সবার কাছে তুলে ধরছেন ট্রাম্প।  

কিন্তু আফ্রিফোরামসহ শ্বেতাঙ্গ ডাচ ও ফরাসি বংশোদ্ভূতদের গঠিত আফ্রিকানারদের প্রায় সব লবি গ্রুপই ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

শনিবার আফ্রিফোরামের সিইও কালি ক্রিল বলেন, 'যারা আফ্রিকানার সংস্কৃতি বিসর্জন দিতে চায়, তারাই শুধু প্রবাসের চিন্তা করবে। এই সংস্কৃতির মূল্য অনেক।'

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

2h ago