শিবলী রুবাইয়াতের স্ত্রী-সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতের স্ত্রী শেনিন রুবাইয়াত, তাদের দুই ছেলে এবং আরও আটজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বাকিরা হলেন—শিবলীর ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম ও জারেব শাহদান ইসলাম, তাদের আত্মীয় শেখ শামদুদ্দিন আহমেদ, মো. মাহবুবুল আলম, মো. সাইফুর রহমান, মো. রেজাউল করিম, শেখ মাহবুবুর রহমান, মো. মাহমুদুল হক, শেখ মো. লুৎফুল কবির ও রাশেদুল আলম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মাসুদুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালত শিবলী রুবাইয়াতের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।

বিএসইসিতে থাকাকালে শেয়ার বাজারে লুটপাটে সহায়তা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে।

এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সংস্থাটির কৌঁসুলি রুহুল ইসলাম খান।

আবেদনপত্রে দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জন এবং অন্যত্র অর্থ পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশে ও বিদেশে তারা নিজেদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, তারা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। সুতরাং, তাদের বিরত রাখতে আদেশ প্রয়োজন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শিবলীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দুর্নীতির একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরদিন দুদক উপপরিচালক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে শিবলী রুবাইয়াতের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে তিন কোটি ৭৬ হাজার টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে একই আদালতে তোলা হয়। সেদিন শিবলী জামিন চান এবং রাষ্ট্রপক্ষের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং শিবলী রুবাইয়াতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সাত দিনের মধ্যে আসামিকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদককে অনুমতি দেন আদালত।

এর আগে ২০২৩ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) অভিযোগ তোলে—মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত একটি ব্যাংক হিসাব থেকে শিবলী অর্থ পেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago