চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ল্যাথাম-ইয়ংয়ের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাল নিউজিল্যান্ড

Tom Latham

নিয়মিত ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র চোটে না পড়লে হয়তো একাদশেই জায়গা হতো না উইল ইয়াংয়ের। সুযোগ পেয়ে তিনি বাজিমাত করলেন একেবারে শতরানের ইনিংস খেলে। তার ১০৭ রানে ইনিংসে বিপদের শঙ্কা দূর করে নিউজিল্যান্ড। এরপর টম ল্যাথামের সেঞ্চুরি তাদের এনে দিয়েছে বড় স্কোরের ভিত। বাঁহাতি এই ব্যাটারের সঙ্গে গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ে শেষ দশ ওভারে কিউইরা ১১৩ রান যোগ করে পেয়ে গেছে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। 

বুধবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ৫ উইকেটে ৩২০ রানের স্কোর গড়েছে নিউজিল্যান্ড। ১০৪ বলে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংসে ল্যাথাম মেরেছেন ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৩৪ বলে ফিফটি পাওয়া ফিলিপস ৩৯ বলের ইনিংসে করেছেন ৬১ রান। তার ব্যাটে ৩টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার দেখেছেন করাচির দর্শকেরা।

টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া পাকিস্তানকে প্রথম উইকেটের জন্য ৮ম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আবরার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ১৭ বলে ১০ রানে যখন ফিরে যান ডেভন কনওয়ে, নিউজিল্যান্ডের রান ৩৯। স্কোরবোর্ডে আরও এক রান যুক্ত হতেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। 

নাসিম শাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে কেইন উইলিয়ামসন ফিরে যান ১ রানে। ওয়ানডেতে ৩৫ ইনিংস পর তাকে এক অঙ্কে আউট হতে দেখেন সতীর্থরা। দলের হাল ধরার চেষ্টায় ব্যর্থ হন ড্যারিল মিচেল। ডানহাতি এই ব্যাটার ১০ রান করে হারিস রউফের বলে আউট হলে ৭৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে যায় কিউইদের।

শুরু থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকা ওপেনার ইয়াং তার ফিফটি পান ৫৬ বলে। ২৩তম ওভারে শতরান পেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কিছুটা ধীরগতির পিচে তাদের ইনিংস চলে ধীরলয়ে। ৩৫তম ওভারে ১০৭ বলে ইয়াং বিদেশের মাটিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পান। ওই ওভারেই চতুর্থ উইকেট জুটি শতরান ছাড়িয়ে যায়।

৪১ রানে থাকা অবস্থায় ল্যাথামের ক্যাচ পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু মিড উইকেটে রউফের বলে উঠা ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি সালমান আঘা। এরপর ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ল্যাথাম। সেঞ্চুরির পর বড় শট খেলতে গিয়ে ১০৭ রান করে আউট হয়ে যান ইয়াং। ১১৩ বলের ইনিংসে তিনি ১টি ছক্কার সঙ্গে মারেন ১২ চার। 

২০৭ রান নিয়ে শেষ দশ ওভারে প্রবেশ করে নিউজিল্যান্ড। ল্যাথাম গিয়ার পাল্টিয়ে ৯৫ বলে করেন সেঞ্চুরি। ছয়ে নামা ফিলিপস তার পাওয়ারের প্রদশর্নী দেখিয়ে ৩৪ বলে ফিফটি করেন। 

নাসিম ৬৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে তার বোলিং শেষ করেন। দুটি উইকেট পেলেও রউফকে খরচ করতে হয় ৮৩ রান। আরেকটি উইকেট পড়েছে আববারের ঝুলিতে।
 

Comments