চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনায়াসে হারিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

New Zealand

ম্যাচের ফলাফল নিয়ে তখন কোন উত্তেজনাই নেই। অনেক আগেই জয় নিশ্চিত হয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের। তবু শেষ বলেও ছড়ালো উত্তেজনা! কারণ শেষ দুই বলে সেঞ্চুরি পেতে ৮ রান দরকার ছিলো ডেভিড মিলারের। দলের হার নিশ্চিতের পর এক প্রান্তে একা আগ্রাসী খেলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন মিলার। যদিও দল হারল বড় ব্যবধানে।

গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হয়েছে একপেশে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করে রাচিনের ১০১ বলে ১০৮, উইলিয়ামসনের ৯৪ বলে ১০২ রানে ভর করে ৩৬২ রানের রেকর্ড পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। বিশাল লক্ষ্যে খাবি খেয়ে টেম্বা বাভুমার দল থেমে যায় ৩১২  রানে।  করেছে ৯ উইকেটে ৩১২ রান।  ৬৭ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থেকে মিলার বাড়িয়েছেন আক্ষেপ।

লাহোরের উইকেট এদিনও ছিলো ব্যাটিং স্বর্গ। এই মাঠেই ইংল্যান্ডের দেওয়া সাড়ে তিনশোর বেশি রান তাড়া করে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। বিস্ফোরক সব ব্যাটার নিয়ে আদর্শ উইকেটে তেমন কিছুর সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। রাচিন রবীন্দ্র আর কেইন উইলিয়ামসনের জোড়া সেঞ্চুরিতে সাড়ে তিনশো ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে জ্বলে উঠেন মিচেল স্যান্টনার। কিউই অধিনায়ক দারুণ বোলিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে তুললেন ফাইনালে। ৯ মার্চ তারা শিরোপে জয়ের মিশনে দুবাইতে ভারতের মুখোমুখি হবেন। 

রান তাড়ায় সতর্ক শুরু করেন বাভুমা, রায়ান রিকেলটন উড়ন্ত শুরুর চেষ্টা করে বেশি দূর এগুননি। ১২ বলে ১৭ রান করা প্রোটিয়া ওপেনার ফেরেন ম্যাট হেনরির বলে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর রাফি ফন ডার ডুসেনের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে উঠে বাভুমার। ডুসেন বলে-রানে তাল মিলিয়ে ছুটলেও বাভুমা ছিলেন কিছুটা শ্লথ। ৬৪ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। ফিফটির পর পরই শিকার হন মিচেল স্যান্টনারের, পুষিয়ে দেওয়ার আর সুযোগ পাননি।

দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ বলে ১০৫ রান আসার পর ডুসেন এইডেন মার্করামকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন। তিনি পরিস্থিতির দাবি মেটানো ব্যাট করেই ফিফটি তুলে আশা দিচ্ছিলেন বড় কিছুর। তবে তাকেও ছাঁটেন স্যান্টনার। কিউই অধিনায়কের বলে ৬৬ বলে ৬৯ করে ডুসেন বোল্ড হলে বড় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আরও বড় আঘাত দেন স্যান্টনার। এমন বড় রান তাড়ায় যার ব্যাট হতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভরসার নাম, সেই হেইনরিখ ক্লাসেনকেও বিদায় করেন স্যান্টনার। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।

এইডেন মার্করাম থিতু হয়ে বিদায় নেন রাচিন রবীন্দ্রের বলে। বিপুল রানের চাপ ডেভিড মিলারের পক্ষে একা সামাল দেওয়া সম্ভব ছিলো না। আরেক প্রান্ত থেকেও সমর্থন পাচ্ছিলেন না তিনি। ওভারপ্রতি রান নেওয়ার চাহিদা এগারো ছাড়িয়ে গেলে ভিয়ান মুল্ডার, মার্কো ইয়াসেনরাও প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ম্যাচ হয়ে পড়ে ম্যাড়ম্যাড়ে। বাকিটা সময় কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মিলার। শেষ ওভারে সেঞ্চুরিও তুলেছেন তিনি, তবে তাতে নিউজিল্যান্ডের কিছু যায় আসেনি।

দুপুরে গুরুত্বপূর্ণ টস জিতে পাটা উইকেটের সুবিধা পুরোপুরি তুলে নেন রাচিন-উইলিয়ামসন। দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৪ বলের জুটিতে দুজনে যোগ করেন ১৬৪ রান। দুজনেই সেঞ্চুরি করে দেন দলকে পাহাড়ে চড়ার ভিত। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেই পথ ধরে দলকে চূড়ায় নিয়ে যান ড্যারেল মিচেল আর গ্লেন ফিলিপস।

Comments

The Daily Star  | English

Tax authority to split. Will it bring the desired outcome?

Touted as a historic overhaul, the move has ignited debate over whether it will drive meaningful reform or merely deepen the layers of bureaucracy, given the NBR's persistent failure to meet its targets.

15h ago