যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ৪ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করল হামাস

হামাস সদস্যদের কড়া প্রহরায় মরদেহ হস্তান্তর শেষ হয়। ছবি: এএফপি
হামাস সদস্যদের কড়া প্রহরায় মরদেহ হস্তান্তর শেষ হয়। ছবি: এএফপি

যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এবারই প্রথমবারের মতো চার নিহত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও আল জাজিরা।  

বিবাস পরিবারের তিন সদস্য—শিরি বিবাস ও তার দুই তরুণ ছেলে সন্তান কেফির আর আরিয়েলের পাশাপাশি ওদেদ লিফশিৎজ (৮৩) এর মরদেহ রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস।

হামাস সদস্যরা রেড ক্রসের ট্রাকে সাদা চাদরে ঢাকা কালো রঙের কফিনগুলো উঠিয়ে দেয়। এরপর রেডক্রসের গাড়িবহর ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দেয়।

বৃষ্টিপাতের মাঝেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনি মরদেহ হস্তান্তরের এই প্রক্রিয়া দেখার জন্য উত্তর গাজার খান ইউনিসের নির্ধারিত জায়গায় উপস্থিত হন।

হামাস সদস্যদের কড়া প্রহরায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়।

১৯ জানুয়ারি থেকে হওয়া ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিরা মুক্তি পাচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত চুক্তির প্রথম পর্যায়ের ৩০ দিনে ১৯ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপরদিকে, এক হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।  

পরবর্তী ১২ দিনে আরও ১৪ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, বাকিদের মধ্যে আট জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন।

হামাস সদস্যদের কড়া প্রহরায় মরদেহ হস্তান্তর শেষ হয়। ছবি: এএফপি
হামাস সদস্যদের কড়া প্রহরায় মরদেহ হস্তান্তর শেষ হয়। ছবি: এএফপি

হামাস দাবি করেছে, ওই নিহত চার জিম্মি ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে এ বিষয়টি ইসরায়েলি নিশ্চিত করেনি এবং বিবাস পরিবারসহ অনেকেই এই দাবি মেনে নিতে নারাজ।

এ সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল-হামাস জানায়, আট নিহত জিম্মির মরদেহ দুই দফায় হস্তান্তর হবে।

এরপর বাকি ছয় জীবিত জিম্মি মুক্তি পাবেন।

জীবিত থাকা জিম্মিরা হলেন এলিয়া কোহেন, তাল শোহাম, ওমর শেম টভ, ওমর ওয়েনকের্ট, হিশাম আল-সায়েদ ও আভেরা মেঙ্গিতসু।

হামাসের জ্যেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু এএফপিকে বুধবার বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি সব জিম্মিকে একযোগে মুক্তি দিতে তারা রাজি।

তবে হামাস বা অন্যান্য সংগঠনের হাতে কতজন জিম্মি রয়েছেন, সে সংখ্যা নিশ্চিত করেননি তিনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় এক হাজার ২১১ জন নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫১ ব্যক্তি।

জিম্মিদের মধ্যে ৭০ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলের দাবি, তাদের ৩৫ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

হামাসের হামলার পর সেদিনই গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ১৫ মাস ব্যাপী নির্বিচার হামলায় নিহত হন ৪৮ হাজার ২৯৭ ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষ।

Comments

The Daily Star  | English

Pakistan says it has launched military offensive against India

Locked in a longstanding dispute over Kashmir, the two countries have engaged in daily clashes since Wednesday

3h ago