তিন ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করল হামাস
তিন ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। গতকাল প্রকাশিত এই ভিডিওতে জিম্মিরা ইসরায়েলি সরকারকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনটির বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করে তাদেরকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
গতকাল রোববার হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের ১০০তম দিনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ভিডিওটিতে কোনো তারিখ উল্লেখ করা নেই এবং এর দৈর্ঘ্য ৩৭ সেকেন্ড। এতে বক্তব্য রাখেন নোয়া আরগামানি (২৬), ইয়োসি শারাবি (৫৩) ও ইতাই সিরস্কি (৩৮)। ভিডিও শেষে স্ক্রিনে একটি ক্যাপশন দেখানো হয়। এতে বলা হয়, 'তাদের ভাগ্যে কি আছে তা আমরা আগামীকাল জানাবো'।
এর আগে হামাস জানায়, গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ইসরায়েলি বোমাহামলার ফলে তারা কয়েকজন জিম্মির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। খুব সম্ভবত তারা নিহত হয়েছেন, উল্লেখ করে হামাস।
যুদ্ধের শুরুর দিকে ইসরায়েলি হামলার মুখে সংগঠনটি জিম্মিদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল।
সাধারণত হামাসের জনসম্মুখে প্রকাশিত এ ধরনের বক্তব্যের জবাব দেন না ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এটা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেনসিক কর্মকর্তা হাগার মিজরাহি স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে জানান, ৩১ ডিসেম্বর নিহত জিম্মিদের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে যা জানা গেছে, তা হামাসের দাবীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
হামাসের দাবী, ইসরায়েলের বিমানহামলায় জিম্মিরা নিহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে হামাস এবং জিম্মি করে আরও ২৪০ জনকে। জিম্মিদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি পান। ইসরায়েলের দাবি, আরও ১৩২ জন জিম্মি এখনো গাজায় আটকে আছেন এবং ইতোমধ্যে বন্দী অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন।
জিম্মি মুক্তি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে সমালোচনার মুখে আছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নিয়মিত এ বিষয়টি নিয়ে রাজধানী তেল আভিভে বিক্ষোভ করছেন ইসরায়েলিরা। তার পদত্যাগের দাবিও এসেছে এসব বিক্ষোভে।
আটক জিম্মিদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য আবারও যুদ্ধবিরতি চালু অথবা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। তার যুক্তি, এটাই জিম্মিদের মুক্ত করার সবচেয়ে ভালো উপায়।
গত মাসে নেতানিয়াহু দেশটির পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় জানান, তিনি আরগামানিকে মুক্ত করার জন্য বেইজিং এর সহায়তা চেয়েছেন। আরগামানির মা লিওরা চীনের নাগরিক। জটিল রোগে আক্রান্ত লিওরা আরগামানি তার মৃত্যুর আগে মেয়ের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
Comments