বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি গিলের ‘সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক ইনিংসগুলির একটি’

Shubman Gill

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এর আগেই সাতটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন। অষ্টম সেঞ্চুরিটি এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২৯ রান তাড়া করার এক ম্যাচে। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে করা এই শতকটি তবু শুবমান গিলের কাছে অনেক সন্তোষজনক। ১০১ রানের ইনিংসটিকে তিনি এগিয়ে রাখছেন কন্ডিশন বিবেচনায়।

বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ১২৯ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে গিল মেরেছেন ২ ছক্কা।  সেঞ্চুরিতে যেতে তার লেগেছে ১২৫ বল। ওয়ানডেতে এর আগে ৭ সেঞ্চুরি ছিলো গিলের, ৮ম সেঞ্চুরিটি আগের সবগুলোর চেয়ে ধীরগতির। অথচ তৃপ্তির দিক থেকে নাকি তা উপরের দিকের। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে ম্যাচশেষে ভারতীয় ওপেনার বলেছেন, 'নিঃসন্দেহে আমার খেলা সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক ইনিংসগুলির মধ্যে একটি এবং আইসিসি ইভেন্টে প্রথম সেঞ্চুরি। অনেক সন্তোষজনক এবং যেভাবে পারফর্ম করেছি তা নিয়ে খুব খুশি।''

দুবাইয়ের পিচ ছিল ধীরগতির। ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে উঠা বাইশ গজে বোলারদের জন্য ছিল যথেষ্ট সহায়তা। পাওয়ারপ্লেতে ৬৯ রান এনে ফেলেছিল ভারত। তবুও ৬ উইকেটে জয় পাওয়ার জন্য রোহিত শর্মার দলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৬.৩ ওভার পর্যন্ত।

এমন উইকেটে কীভাবে খেলতে হবে, সেই পরিকল্পনা অবশ্য গিলের পাকাপোক্তই ছিল। ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার বলেছেন, 'আমি আর রোহিত ভাই যখন ব্যাটিংয়ে গিয়েছি, আমরা ভেবেছি কাট শট খেলা সহজ হবে না। কারণ আউটসাইড অফস্টাম্পের ডেলিভারিগুলো ব্যাটে সুন্দরমতো আসছিল না। তো এমনকি ফাস্ট বোলারের সামনে পা ব্যবহার করা (ডাউন দ্য উইকেটে আসা) এবং সার্কেলের উপরে দিয়ে মারার কথা ভেবেছি আমি।'

স্পিনারদের বিপক্ষে গিলের ছিল ভিন্ন কৌশল, 'যখন স্পিনাররা এলেন, আমি এবং বিরাট ভাই কথা বলেছিলাম যে ফ্রন্টফুটে সিঙ্গেল বের করা সহজ নয়। তাই আমরা ব্যাকফুটে খেলে সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করবো। আর ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে খেলাও সহজ নয়, তো আমরা শুধু স্ট্রাইক বদল করেছি।'

শেষমেশ ২১ বল হাতে রেখে জিতেছে ভারত। ১৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার আশা জাগাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গিলই অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন হাসিমুখে, 'একটা সময় আমাদের উপর কিছুটা চাপ চলে এসেছিল। বাইরে থেকে বার্তা আসে যে আমাকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার চেষ্টা করতে হবে এবং আমি সেটা করতেই চেষ্টা চালিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Prisoners celebrate Eid in unity and harmony at Dhaka Central Jail

Eid prayers for inmates were held at 8:15am inside the prison premises

40m ago