৫৭ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন ট্রাম্প সীমা ছাড়িয়ে গেছেন: জরিপ

নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফাইল ছবি: রয়টার্স
নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ফাইল ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর এক মাসেই কেন্দ্রীয় প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার আনার পাশাপাশি অসংখ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও ইপসোসের পরিচালিত এক জরিপে অনুযায়ী, ৫৭ শতাংশ মার্কিনি মনে করছেন দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প।

জরিপ অনুযায়ী, মার্কিন ভোটারদের মাঝে এক মাসের মধ্যেই ট্রাম্পকে সমর্থনের হার ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ৫৩ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন না বলে জানিয়েছেন।

এই এক মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রমকে সমর্থন করছেন ৪৩ শতাংশ মার্কিনি, ৪৮ শতাংশ বিরোধিতা করছেন। এর মধ্যে তীব্র বিরোধিতা করছেন ৩৭ শতাংশ, তীব্র সমর্থন দিচ্ছেন ২৭ শতাংশ।

জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৯০ শতাংশ রিপাবলিকান ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করছেন, ৯০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বিরোধিতা করছেন। স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তার পদক্ষেপগুলোর পক্ষে থাকলেও অর্ধেকের বেশি এর বিরোধিতা করছেন।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনরোষ রয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততাকে সমর্থন দিচ্ছেন মাত্র ৩৪ শতাংশ মার্কিনি, ৪৯ শতাংশই বিরোধিতা করছেন।

এই এক মাসে ট্রাম্পের উদ্যোগগুলো বিভিন্ন আইনি চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হয়েছে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার আইন বাতিলের মতো ট্রাম্পের কিছু নির্বাহী আদেশ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারে।

কেন্দ্রীয় আদালত ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রায় দিলে কী হবে, এই প্রশ্নের জবাবে ৮৪ শতাংশ জনগণ বলেন, রায় মেনে নেওয়া উচিত ট্রাম্পের। ১১ শতাংশ মনে করেন, আদালতের রায় উপেক্ষা করা উচিত।

৬২ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, ট্রাম্প তার ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেলেও রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস তাকে সমর্থন দিয়ে যাবে। তবে ৫৬ শতাংশ মনে করেন, সীমা ছাড়িয়ে গেলে সুপ্রিম কোর্ট তাকে থামানোর চেষ্টা করবে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

6h ago