চট্টগ্রামে ৫২.৩ শতাংশ গৃহিণী অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন: গবেষণা

চট্টগ্রাম নগরীতে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ গৃহিণী দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন বলে দেখা গেছে একটি গবেষণায়।

চট্টগ্রাম নগরীতে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ গৃহিণী দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন বলে দেখা গেছে একটি গবেষণায়।

সম্প্রতিকালে চট্টগ্রাম নগরীর ৫টি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট ২ হাজার ১৩৬ জন ডায়াবেটিস রোগীর ওপর পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এ চিত্র উঠে এসেছে। 

সঠিক সময়ে ওষুধ সেবন না করা, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের প্রতি আসক্তি এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে অনিহাসহ বিভিন্ন কারণে তারা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

এ ছাড়া শিশু এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইদানিং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে, যা আগে বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল বলে জানান ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা।   

গত ২৫ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল প্লাস ওয়ানে এই গবেষণার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

নিবন্ধটির একজন লেখক এবং গবেষণার একজন সহগবেষক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারহানা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে গৃহিণীরা সবচেয়ে বেশি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন।' 

'আমাদের গবেষণায় দেখেছি, এই রোগীরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন না। তারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন না এবং তাদের খাবারে বেশি কার্বোহাইড্রেট এবং লাল মাংস এবং কম ফল ও শাকসবজি গ্রহণ করেন।' 

'এসব রোগীদের অনেকেই, এমনকি পরিবারের রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে বাইরে হাঁটতেও যান না এবং বাড়িতে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে আসক্ত।'

তিনি আরও বলেন, 'শিশু ও তরুণরাও ইদানিং অধিক হারে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। যা আগে খুবই অস্বাভাবিক ছিল। আগে বয়স্ক ব্যক্তিরা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতেন।'

ফারহানা বলেন, 'অতিরিক্ত ওজন, বাইরে খেলাধুলা না করা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়াসহ শারীরিক কার্যকলাপের অভাব শিশু ও তরুণদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ।' 

গবেষণা জরিপে অংশ নেওয়া ৪২ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের (দ্বাদশ শ্রেণির) শিক্ষার্থী। 

Comments

The Daily Star  | English
wage workers cost-of-living crisis

The cost-of-living crisis prolongs for wage workers

The cost-of-living crisis in Bangladesh appears to have caused more trouble for daily workers as their wage growth has been lower than the inflation rate for more than two years.

1h ago