‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সবচেয়ে নিগৃহীতদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সব সম্প্রদায়ের ভেতর বিভাজন সৃষ্টি করে এসেছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের ঐক্যের জায়গাগুলো খুঁজে বের করা। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে যারা সবচেয়ে নিগৃহীত তাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। সংবিধান সংস্কার এখন সময়ের দাবি।'

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবীর মিলনায়তনে 'সংবিধান সংস্কার এবং দলিত, হরিজন ও তফসিলি সম্প্রদায়ের অধিকার প্রসঙ্গে' গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হাসনাত কাইয়ূম।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, 'রাষ্ট্রকে এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে, যাতে দলিত, হরিজন ও তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়। তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটা কেবল তাদের উন্নতির জন্য নয়, বরং একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য। সেজন্যে আমাদের সম্মিলিত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিসরে এই দাবিগুলো তুলে ধরতে হবে।'

অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষে তফসিলী সম্প্রদায়ের ইতিহাস বিবৃত করেন জাত বর্ণ বিলোপ কনভেনশনের সদস্য সচিব, এডভোকেট উৎপল বিশ্বাস। তিনি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে তফসিলী সম্প্রদায়ের প্রস্তাবনাও সভায় পেশ করেন। সেখানে দাবি করা হয় যে, সংবিধানে সব তফসিলী সম্প্রদায়ের নাম যোগ করতে হবে। অন্যান্য দাবির মধ্যে প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রপতিকে তফসিলী সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য কমিশন তৈরির দাবিসহ জাতীয় সংসদ ও সিটি করপোরেশনে তফসিলী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সংরক্ষিত রাখতে হবে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী কৃষ্ণ লাল বলেন, 'হরিজনরা শিক্ষিত হলেও চাকরির ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য কোনো কোটা বা সংরক্ষিত পদ নেই, যা তাদের উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, আবাসন সমস্যাও একটি বড় সংকট।'

মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম মেম্বার অধ্যক্ষ নীরদ বরণ মজুমদার বলেন, 'ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশ আমলে তফসিলী সম্প্রদায় বেশি বঞ্চিত। যেখানে দল নাই সেখানে বল নাই, সেজন্যে তফসিলী সম্প্রদায়কে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হতে হবে। সাংবিধানিকভাবে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।'

বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, 'হিন্দুদের মধ্যে তফসিলীরা সংখ্যাগুরু কিন্তু তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব দেখা যায় না।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

6h ago