ভারতকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় অসন্তোষ ইংলিশ অধিনায়কেরও

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার নিজেদের সবগুলো ম্যাচ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলছে ভারত। তাদের একটি ভেন্যুতে খেলার সুবিধা দেওয়ায় হালকা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এবার তার সঙ্গে সূর মিলিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারও। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত যেখানে সব ম্যাচ দুবাইতে খেলবে, সেখানে অন্য দলগুলোকে পাকিস্তানের তিনটি শহরের সঙ্গে ভ্রমণ করতে হচ্ছে দুবাইয়েও। মূলত আয়োজক দেশ পাকিস্তানে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে সফর করতে ভারত অস্বীকৃতি জানালে এমন সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি।

বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না হলেও হালকা অসন্তোষ প্রকাশ করে বাটলার বলেছেন, 'আসলে তেমন কিছু না। আমার মনে হয়, এটা এমনিতেই একটি অনন্য টুর্নামেন্ট, তাই না? এখানে একটি দল একেবারেই ভিন্ন স্থানে খেলছে। তবে এটি এমন কিছু নয় যা নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবছি। আমার পুরো মনোযোগ রয়েছে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ায় এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচের দিকে।'

ভারতকে বিশেষ এই সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সাবেক দুই ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক আথারটন ও নাসের হুসেইনও। তাদের মতে, দুবাইয়ে একই ধরনের কন্ডিশনে থেকে এবং ভ্রমণের ঝামেলা এড়িয়ে খেলা ভারতের জন্য একটি সুবিধা বটে।

গ্রুপ পর্ব পার হওয়ায় ভারত তাদের সেমিফাইনাল ম্যাচও খেলবে দুবাইয়ে। এমনকি ফাইনালে তারা সেখানে পৌঁছালে সেই ম্যাচও দুবাইতে খেলবে। ফলে তারা এক শহরে থেকে, পরিচিত পিচ ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুবিধা পাচ্ছে, যা অন্য কোনো দল পাচ্ছে না।

'ভারতের জন্য দুবাইতে খেলার সুবিধাটি কীভাবে নির্ধারণ করা যায়? এটি নির্ণয় করা কঠিন হলেও, এটি যে একটি সুস্পষ্ট সুবিধা, তা অস্বীকার করা যায় না। তারা শুধু একটি ভেন্যুতেই খেলছে। তাদের ভেন্যু পরিবর্তন করতে হচ্ছে না, এমনকি দেশ পরিবর্তনও করতে হচ্ছে না, যা অন্য অনেক দলকে করতে হচ্ছে," স্কাই স্পোর্টসে নাসের হুসেইনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন আথারটন।

জবাবে হুসেইনও একমত হয়ে বলেন, 'হ্যাঁ, এটি একটি সুবিধা। তারা একই জায়গায়, একই হোটেলে থাকছে, তাদের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না। একই ড্রেসিং রুম ব্যবহার করছে। তারা পিচ সম্পর্কে জানে এবং সে অনুযায়ী দল বাছাই করতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

6h ago