কুষ্টিয়ার আদালতে ইনু-জর্জ, কাঠগড়ায় হাতকড়া পরানো নিয়ে হট্টগোল

একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলায় হাজিরা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার দুই সাবেক সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু ও সেলিম আলতাফ জর্জ।

পুলিশ আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তাদের কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতে হাজির করে।

এদিকে কাঠগড়ায় তোলার পরও হাতকড়া না খোলায় হাসানুল হক ইনু ও তার আইনজীবীরা পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আকরাম হোসেন দুলাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আইন হচ্ছে কাঠগড়ায় বিচারকের সামনে যখন আসামি দাঁড়াবে, তখন তাকে হাতকড়া পরানো যাবে না। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ কর্মকর্তা বিচারকের খাসকামরায় যান। সেখান থেকে ফিরে এসে ইনুর এক হাতের হাতকড়া খুলে দেয়।'

আকরাম হোসেন জানান, সেলিম আলতাফ জর্জও হাতকড়া পরানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কয়েক মিনিট পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী হাসানুল হক ইনুর জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে উপপরিদর্শক জিলানী আসামিকে জামিন না দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরেন।

জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়া শহরের ইসলামিয়া কলেজ এলাকায় আন্দোলকারীদের গুলি চালিয়ে ও এলোপাতাড়ি মারধর করে বিক্ষোভকারীদের হত্যার চেষ্টা করা হয়।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আহত আন্দোলনকারী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় মোট ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি ৭০-৮০ জন।

কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপপরিদর্শক (এসআই) ইস্কান্দার আলী বলেন, আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। পরে তাদেরকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago