‘আগামী প্রজন্মের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছেন মাহমুদউল্লাহ’

ছবি: রয়টার্স

সেই ২০০৭ সালে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ১৮ বছরের পথ চলায় হয়ে উঠেছিলেন নির্ভরতার নাম। তবে সময়ের তাগিদেই ইতি টানতে হয়েছে তাকে, বিদায় নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। অভিজ্ঞ এই তারকার বিদায়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি মনে করেন মাহমুদউল্লাহ একটা মানদণ্ড স্থাপন করেছেন, তরুণরা যা অনুসরণ করবে।

বুধবার রাতে ফেসবুকে নিজের অবসর ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসরে যাওয়া এই ক্রিকেটার খেলছিলেন কেবল ওয়ানডে। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতার পর তার জায়গা নিয়ে উঠে প্রশ্ন। সমালোচনার মধ্যে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর অবসর নিলেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বিসিবির দেওয়া বিবৃতিতে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন ফারুক। তার আশা মাহমুদউল্লাহ অন্য কোনভাবে যুক্ত হবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে।

ফারুক বলেছেন,  'মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সকলের জন্য এটি একটি বিষণ্ণ মুহূর্ত। কারণ তিনি প্রায় দুই দশক ধরে জাতীয় দলের শক্তির স্তম্ভ ছিলেন। ধারাবাহিকতা এবং চাপের মধ্যে সাফল্য অর্জনের ক্ষমতা তাকে অমূল্য সম্পদে পরিণত করেছিলো। তার নিষ্ঠা এবং পারফরম্যান্স ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে এবং তার লিগ্যাসি অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকবে।'

'মাহমুদউল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পারফর্মারদের একজন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ব্যাট বা বল হাতে, যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, তখনই তিনি পারফর্ম করেছেন। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে তার শান্ত আচরণ এবং মাঠে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার অবস্থানকে দৃঢ় করেছে।'

'বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে, আমরা মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ ক্যারিয়ার ও খেলার প্রতি তার অমূল্য নিবেদনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমরা তার ভবিষ্যতের সকল প্রচেষ্টায় সাফল্য কামনা করি এবং আত্মবিশ্বাসী যে তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার বাংলাদেশে ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করতে থাকবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

6h ago