বান্দরবানে কিশোরী ধর্ষণ: ৪০ হাজার টাকায় মীমাংসা চেষ্টার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে মামলা

প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় এক আদিবাসী প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা সামাজিক বিচারের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে একটি মামলা হয়েছে।

ঘটনার তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর বড় ভাই রোয়াংছড়ি থানায় মামলা করেন।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত জামাল হোসেন (৩৫) পটুয়াখালীর গাছনি ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়ার বাসিন্দা। তিনি রোয়াংছড়ি-রুমা সড়কের সংস্কারকাজে শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সামাজিক বিচারে অভিযুক্তকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করানোর শাস্তি নির্ধারণ করা হয়।

একটি আপসনামাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়, যেখানে চারজন পাড়াপ্রধান, এক আনসার সদস্য, এক শিক্ষক ও দুজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সই করেন।

তবে এলাকাবাসী ও অধিকারকর্মীদের ভাষ্য, বিচার ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী সামাজিক বিচারের আয়োজন করা হয়েছিল।

মামলার পর ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'প্রথমে কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ না করায়, জামাল হোসেনকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছিল। পরে মামলা দায়ের হলে তাকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।'

মামলার পর আদালতে কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

ওসি জানান, যারা সামাজিক বিচারে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রোয়াংছড়ি উপজেলা থানা পুলিশ।

এদিকে, ধর্ষণচেষ্টার মতো অপরাধের বিচার সামাজিকভাবে মীমাংসা করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী ডনাই প্রু মারমা নেলী।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ধর্ষণের মতো অপরাধ সামাজিকভাবে মীমাংসার সুযোগ নেই। আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

49m ago