‘যিনি আ. লীগের নেতৃত্বে আসবেন, তিনি অপরাধী না হলে কেন রাজনীতি করতে পারবেন না’

রাজধানীর দক্ষিণখানে দুস্থদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন, তিনি যদি কোনো অপরাধ না করেন, ছাত্র হত্যা না করেন, অর্থ লোপাট বা পাচার না করেন— তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, 'এটি হচ্ছে আমার বক্তব্য। যদি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা যায়, অপরাধীদের বিচার হয়, তারপর জনগণ যদি তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়, তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।'

আজ শুক্রবার রাজধানীর দক্ষিণখানে দুস্থদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, 'যারা টাকা পাচার করেছে, যারা শিশু-কিশোর, আহনাফ, আবু সাঈদ, মুগ্ধ এদের হত্যা করেছে, এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচার হতে হবে। শ্রমিক, রিকশাচালক, ছাত্র-ছাত্রী যাদের হত্যা করেছে- তাদের বিচার আমরা করি না কেন?'

তিনি বলেন, 'শেখ মুজিব ও তার কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দুইবার ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একবার তার বাবা সব দল বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল করলেন। আর তার মেয়ে নতুন কায়দায় নতুনভাবে আরও ভয়াবহভাবে বাকশাল তৈরি করে বিরোধী দল এর কথা বলা, মানুষের কথা বলা, যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যায়, তাদের জায়গা হয় কারাগারে। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল।"

'সেই রাজত্ব যাতে ফিরে না আসে। সেগুলো নিশ্চিত করেই তো গণতন্ত্রে যার যার জায়গা, যার যার রাজনীতি করার অধিকার, সেই অধিকার নিশ্চিত করবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, গণতান্ত্রিক চর্চা', বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, 'অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা। কিন্তু এই কথা উঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হবে কিনা? কারা চালিয়েছে? এটা কি মানুষ দেখেনি? কোন পুলিশের ওসি, ডিসি, এসি, এখানে ভূমিকা রেখেছে? কার নির্দেশে এসব ঘটেছে? রক্তপাত ঘটানোর জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন?'

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন কিনা সন্দেহ আছে, তার ঈশ্বর হচ্ছে টাকা। যার ঈশ্বর টাকা হয়, তিনি তো কোনোদিন ভালো কাজ করবেন না।'

রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনার আত্মীয়, পছন্দের লোক, ব্যবসায়ী সবাই অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।'

'যারা দেশের প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, স্বাধীনতাকে বিক্রি করেছে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে শিশু-কিশোর, শ্রমিক, রিকশাচালক হত্যা করেছে, এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে', বলেন তিনি।

রিজভী আরও বলেন, 'যদি একতরফা বিএনপিকে অভিযুক্ত করে আদালতের বাইরে নিজেরা মিডিয়া আদালত তৈরি করে বিএনপিকে অপরাধের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়, তাহলে এটা মিডিয়া ট্রায়াল। এটা অন্যায়, এটা সঠিক নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

6h ago