আইপিএল ২০২৫

নিলামে বিক্রি না হওয়া সেই শার্দুলই এখন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি!

Shardul Thakur

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সংস্করণে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা শার্দুল ঠাকুর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার। মিডিয়াম পেসের সঙ্গে ব্যাটিংও তার জুতসই। তবে এবার আইপিএলে নিলামের সময় অবাক করে দিয়ে তিনি থেকে যান অবিক্রীত। শেষ পর্যন্ত মহসিন খানের চোটে দল পান লখনউ সুপার জায়ান্টে। মজার কথা হলো ৭ ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় সবার উপরে এখন ৩৩ পেরুনো এই পেস অলরাউন্ডার।

হায়দরাবাদে বৃহস্পতিবার রাতে স্বাগতিক সানরাইজার্সকে ৫ উইকেটে হারায় লখনউ। এই ম্যাচে দলের জয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখেন শার্দুল। সানরাইজার্সকে ১৯০ রানে আটকে দিতে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে তাই তিনি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির বেগুনি ক্যাপ মাথায় চাপিয়েছেন।

শার্দুলের এনে দেওয়া দুইশোর নিচে লক্ষ্য পেয়ে  মিচেল মার্শ (৩১ বলে ৫১), নিকোলাস পুরানের (২৬ বলে ৭০) ব্যাটে ২৩ বল আগে জিতেছে লখনউ।

ম্যাচ সেরা হয়ে শার্দুল জানালেন, আইপিএলে দল না পাওয়ায় ইংল্যান্ডে গিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জহির খানের ফোন পেয়ে ফিরে পান আশা, 'আমি আমার পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম। আইপিএলে সুযোগ না পেলে কাউন্টি ক্রিকেট খেলারও পরিকল্পনা ছিল। রঞ্জি ট্রফি খেলার সময় জহির খান আমাকে ফোন করেছিলেন এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন যে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে তোমাকে ডাকা হতে পারে, তাই নিজেকে একদম ছিটকে যাওয়া মনে করো না। যদি বিকল্প হিসেবে ডাকা হয়, তাহলে তোমার খেলার সম্ভাবনা আছে।'

লখনউতে ঠিকই বিকল্প হিসেবে ডাক পেয়ে আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে খেলে প্রমাণ করছেন শার্দুল, 'জীবন উত্থান-পতনে ভরা। আমি সবসময় আমার দক্ষতার উপর ভরসা রেখেছি।'

এদিন শুরুতে বিপদজনক অভিষেক শর্মা ও ইশান কিশানের উইকেট নেন শার্দুল। শেষ দিকে ফেরান অভিনব মনোহর ও মোহাম্মদ শামিকে। অভিষেক, ট্রেভিস হেডদের বিপক্ষে ঝুঁকি নিয়ে সফল হতে চেয়েছেন তিনি, 'অতীতে যা দেখেছি, হেড ও অভিষেক ঝুঁকি নিতে ভালোবাসে, তাই আমিও ভেবেছি আমিও ঝুঁকি নেব। নতুন বল এমন একটা জিনিস যেখানে সুইং থাকলে উইকেট নেওয়া যায় এবং আজ রাতে আমি সেই সুযোগগুলো নিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago