ওসাসুনার বিপক্ষে জিতেও যে কারণে ক্ষুব্ধ বার্সেলোনার কোচ

ম্যাচটির সূচি নিয়ে আপত্তি থাকলেও শেষমেশ মাঠে নামতে হলো দুই দলকে। ওসাসুনার বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল বার্সেলোনা। তারপরও দলটির কোচ হান্সি ফ্লিক ভীষণ ক্ষুব্ধ। কারণ, ম্যাচটি খেলার সময় চোট পেলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি ওলমো।

গত ৮ মার্চ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বার্সার চিকিৎসক কার্লেস মিনিয়ারোর মৃত‍্যুতে স্থগিত হয়ে যাওয়া ম‍্যাচটি মাঠ গড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে। দাপট দেখিয়ে ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলে জেতে ফ্লিকের শিষ্যরা। লিগে দুই দলের প্রথম দেখায় প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-২ গোলে হেরেছিল কাতালানরা। অর্থাৎ তাদের মিলেছে মধুর প্রতিশোধ।

২৮ ম‍্যাচে ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ, ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে ফেরান তরেস বার্সাকে এগিয়ে নেওয়ার পর সফল স্পট কিকে ব‍্যবধান বাড়ান ওলমো। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে স্বাগতিকদের বড় জয় নিশ্চিত করেন রবার্ত লেভানদেভস্কি।

ছবি: এএফপি

পরিবর্তিত সূচিতে আন্তর্জাতিক বিরতির পরপরই মাঠে নামতে হয় দুই দলকে। অর্থাৎ পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ মেলেনি খেলোয়াড়দের। সেকারণেই ছিল আপত্তি। তাছাড়া, ঠাসা সূচি হওয়ার কারও না কারও চোটে পড়ার শঙ্কা থেকেই যায়। সেটাই সত্যি হয়েছে। গোল করার সাত মিনিট পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ওলমো। তাকে কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

ম্যাচের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফ্লিক। ব্যস্ত সূচি ও ওলমোর চোটে পড়া নিয়ে তিনি বলেন, 'যে পরিস্থিতিতে আমাদেরকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, তারপরও সেরাটা আজকে আমরা খুঁজে নিতে পেরেছি। তবে এই ম্যাচটি খেলার সঠিক সময় এটি ছিল না। আন্তর্জাতিক বিরতির ঠিক পরপর, এটা ভালো কিছু হলো না। তিনটি পয়েন্ট আমরা পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমাদেরকে চড়া মূল দিতে হয়েছে, ওলমো চোটে পড়েছে। এটা মোটেও ভালো কিছু নয়।'

বার্সার কোচ যোগ করেন, 'আমরা জানি না, কতদিন তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। যদি দুই সপ্তাহও হয়, তার পরও অনেকগুলো ম্যাচ। তিন সপ্তাহ হলে আরও বেশি ম্যাচ। এটা মোটেও ভালো কিছু নয়। এই তিন পয়েন্টের মূল্য অতি চড়া।'

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Child rape cases in Bangladesh have surged by nearly 75 percent in the first seven months of 2025 compared to the same period last year, according to data from Ain o Salish Kendra (ASK).

2h ago