৫টি ম্যাচই জিততে চায় বাংলাদেশ

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে এক ম্যাচ এক ম্যাচ করে এগোতে চায় বাংলাদেশ। তবে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করলেও পাঁচটির সবকটি ম্যাচই জিতে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া নেওয়াই টাইগ্রেসদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ সরোয়ার ইমরান।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুরুত্বপূর্ণ এই মিশনে অংশ নিতে পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে টাইগ্রেসরা। ছয় দলের এই প্রতিযোগিতায় শুধু দুটি দলই কোয়ালিফাই করতে পারবে, আর প্রতিপক্ষ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক পাকিস্তান থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হাড্ডাহাড্ডি।
তবে লক্ষ্য পূরণে দারুণ সিরিয়াস বাংলাদেশ। ঈদের সময় ও তার আগেই একটি প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে দল, যেখানে ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী বিশেষ অনুশীলন হয়েছে। পাওয়ারপ্লে, মিডল ওভার এবং ডেথ ওভারে ব্যাটিংয়ের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে ব্যাটাররা।
সরোয়ার ইমরান বলেন, 'যদিও পাকিস্তানের উইকেটগুলো প্রত্যাশিতভাবেই ব্যাটিং সহায়ক হয়, তাহলে আমাদের বড় স্কোর তোলার সুযোগ আছে।'
পিচ থেকে পেসারদের জন্য তেমন মুভমেন্ট পাওয়া যাবে না, স্পিনারদেরও শুধুমাত্র লেংথে বল করে ব্যাটারদের চাপে রাখার সুযোগ সীমিত— তাই বোলিংই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
এই প্রসঙ্গে কোচ বলেন, 'আমরা এটা জানি (যে ব্যাটিং পিচে বোলিং কঠিন), তাই ক্যাম্পে সেটা মাথায় রেখেই কাজ করেছি। কীভাবে ব্যাটিং উইকেটে বল করতে হবে, ব্যাট করতে হবে, স্ট্রাইক রেট কী হওয়া উচিত— এসব নিয়েই অনুশীলন করেছি।'
'যদি উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়, তাহলে ২৫০ রান তো হবেই। আমি আশা করছি, আমাদের ব্যাটাররা ২৫০-এর বেশি রান তুলতে পারবে,' — যোগ করেন তিনি।
পাকিস্তান ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবে, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সম্প্রতি বাংলাদেশকে তাদের মাঠে হারিয়েছে— তাই প্রতিপক্ষ সহজ হবে না।
তবুও আত্মবিশ্বাসী কোচ সরোয়ার, 'আমাদের পাঁচটি ম্যাচ আছে এবং আমরা একটার পর একটা ম্যাচে জিততে চাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান শক্তিশালী দল, তবে আয়ারল্যান্ডসহ অন্য দলগুলোকেও আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। সবার সঙ্গে লড়াই করে আমরা পাঁচটি ম্যাচেই জিতে কোয়ালিফাই করতে চাই।'
পাকিস্তানে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১০ এপ্রিল লাহোরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দলটি।
Comments