মেসি ও এনরিকের বিরোধের সেই ঘটনা এলো প্রকাশ্যে

২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বার্সেলোনার কোচ ছিলেন লুইস এনরিকে। স্বদেশি ক্লাবটির হয়ে দারুণ সাফল্য উপভোগ করেন সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার সম্পর্ক সব সময় মধুর ছিল না। তেমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন কাতালানদের সাবেক গোলরক্ষক জর্দি মাসিপ।
ফিরে যেতে হবে প্রায় এক দশক আগে। ২০১৪-১৫ মৌসুমে লা লিগার একটি ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন এনরিকে। কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে আগে থেকে কোনো আলাপ করেননি তিনি। আচমকা এমন সিদ্ধান্তে যারপরনাই নাখোশ হয়েছিলেন বার্সার ইতিহাসের সেরা ফুয়বলার মেসি। শুধু তাই নয়, নিজের আচরণের মাধ্যমে সেটা বুঝিয়েও দিয়েছিলেন। তাছাড়া, ওই ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল বার্সেলোনা।
কিছুদিন পরই ছিল 'থ্রি কিংস ডে'— খ্রিস্টানদের একটি ধর্মীয় উৎসব। রীতি অনুসারে, সেদিন বার্সার ফুটবলাররা অনুশীলন করে থাকেন দর্শকদের সামনে। কিন্তু ওই মৌসুমে মেসি সেখানে যোগ দেননি। এতে আবার ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এনরিকে।
সামনাসামনি কোনো বাকবিতণ্ডার ঘটনা অবশ্য ঘটেনি দুজনের মধ্যে। তবে ছিল চাপা উত্তেজনা। দলের বাকিরাও সেটা টের পেতেন। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়ে পড়ে, তাই সামাল দিতে তখন এগিয়ে এসেছিলেন বার্সেলোনার অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা জাভি হার্নান্দেজ। মেসি ও এনরিকের মধ্যে মিটমাট করে দিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি স্প্যানিশ গণমাধ্যম কাদেনা এসইআরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাসিপ বলেছেন, 'লুইস এনরিক এবং মেসি ঝগড়া-বিবাদ করেননি ঠিকই। কিন্তু একটা চাপা উত্তেজনা ছিল তাদের মধ্যে। সেই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে, এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল।'
বিরোধ মিটে যাওয়াতে ভীষণ লাভবান হয়েছিল কাতালানরা। ওই মৌসুমে তারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জিতেছিল 'ট্রেবল'— উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও কোপা দেল রের শিরোপা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চারটি করে লা লিগা ও কোপা দেল রে জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি আর ছুঁয়ে দেখা হয়নি দলটির। মেসিও সেবার বইয়ে দিয়েছিলেন গোলের বন্যা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৭ ম্যাচে করেছিলেন ৫৮ গোল।
২০১৬-১৭ মৌসুম শেষে বার্সেলোনার কোচের পদ ছেড়ে যান এনরিকে। মাসিপও তখন পাড়ি জমান নতুন ঠিকানা রিয়াল ভায়াদোলিদে। তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে ক্যাম্প ন্যুর ক্লাবটির জার্সিতে সব মিলিয়ে ৪ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এর চার মৌসুম পর নানান নাটকীয়তায় বার্সার সঙ্গে দীর্ঘ দুই দশকের বন্ধন ছিন্ন হয় মেসির।
Comments