উৎসবের আবহে আনন্দ শোভাযাত্রা

ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। উচ্ছ্বাসে ভরা বর্ণিল এই শোভাযাত্রা ছিল উৎসবমুখর।

এবার এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি আয়োজিত হয়েছে নতুন নামে।

আগে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নামে এই শোভাযাত্রা হলেও এবার এটিকে বলা হচ্ছে 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'। নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনারও জন্ম দিয়েছে।

তবে, নাম পরিবর্তন কিংবা সমালোচনার কারণে ভাটা পরেনি এই শোভাযাত্রার আমেজে। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে চারুকলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া এই বর্ণাঢ্য ও আনন্দঘন শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন।

শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর ঘুরে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে চারুকলা অনুষদে ফিরে শেষ হবে।

এবারের শোভাযাত্রার মোটিফগুলোর মধ্যে ছিল অন্যতম হচ্ছে শান্তির প্রতীক কবুতর এবং 'ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি'—যেখানে ফুটে উঠেছে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাবয়ব।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য বিষয় 'নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান'।

ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী—চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারো। অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলও।

পহেলা বৈশাখ দেশের সবচেয়ে বর্ণিল উৎসবগুলোর একটি, যেখানে বাঙালি জাতি পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে বরণ করে নতুন বছরকে। জাতির ঐক্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতীক এই উৎসব ধর্ম, গোত্র, শ্রেণি বা মত নির্বিশেষে সবাই উদযাপন করে।

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

17h ago