গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: মালদ্বীপে ইসরায়েলিরা নিষিদ্ধ

ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের (ডানে) সঙ্গে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু (বামে)। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দেশে ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালদ্বীপ। 

আজ মঙ্গলবার মালদ্বীপের গণমাধ্যম ও বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মালদ্বীপের সংসদীয় কমিটি ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একটি বিল অনুমোদন দেওয়ার পরপরই আজ তাতে সই করেন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু।

নিষেধাজ্ঞাটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।  

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতা ও গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় সরকারের সুদৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে এই বিল।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'মালদ্বীপ ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের অটল সংহতি বজায় রাখবে।' 

পর্যটনের জন্য বিখ্যাত দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে ২০২২ সালে প্রায় ১৬ হাজার ও ২০২৩ সালে প্রায় ১১ হাজার ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী ভ্রমণ করতে এসেছে বলে জানিয়েছে মালদ্বীভস ইনডিপেন্ডেন্ট। 

গত বছরের জুন মাসে আইন করে ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রাখে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট। এর পর থেকে দেশটিতে ইসরায়েলিদের ভ্রমণ করার হার কমতে শুরু করে। 

গত বছর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও দেশের জনগণকে মালদ্বীপ ভ্রমণ না করার আহ্বান জানায়।  

পার্লামেন্টে এই বিলকেন্দ্রিক বিতর্কে ক্ষমতাসীন দল পিএনসির কিছু এমপি এই নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

পিএনসি সদস্য সৌধুল্লা হিলমি বলেন, 'আমরা এভাবে কারো সঙ্গে শত্রুতা করতে পারি না। ইসরায়েলের আরব প্রতিবেশীরা যা করার সাহস পায়নি, তা করতে যাচ্ছি আমরা।'   

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি গণহত্যায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের এই সামরিক আগ্রাসনে লক্ষাধিক গাজাবাসী আহত হয়েছেন। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে উপত্যকাটির প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  

Comments

The Daily Star  | English

Eliminate gender disparities in laws

The Women’s Affairs Reforms Commission has proposed a series of comprehensive reforms to eliminate all forms of discrimination against women embedded in the country’s laws, constitution, policies, and institutions.

9h ago