ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বাছাইপর্বে প্রথম ধাক্কা বাংলাদেশের

টানা তিন জয়ের পর বিশ্বকাপে উত্তরণের একদম কাছে ছিলো বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালে এক ম্যাচ আগেই টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত। তবে বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি নিয়ে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

লাহোরে বৃহস্পতিবার নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগে ব্যাট করে শারমিন আক্তার সুপ্তার ৬৭, ফারজানা হকের ৪২ রানে ২২৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ওই পুঁজি ৪ ওভার আগে পেরিয়ে জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা। রান তাড়ায় তাদের সেরা ব্যাটার চিনাল হেনরি করেন ৪৮ বলে ৫১ রান। এছাড়া কিয়ানা জোসেফ (৩৯ বলে ৩১), স্টেফানি টেইলর (৫১ বলে ৩৬) খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। বাংলাদেশের পেসার মারুফা আক্তার ৩৭ রানে পান ২ উইকেট।

এই ম্যাচ হারলেও চলতি বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে উঠার ভালো সুযোগ এখনো আছে নিগার সুলতানা জ্যোতি দলের। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেই তা নিশ্চিত হয়ে যাবে। পাকিস্তানের কাছে হারলেও টিকে থাকবে আশা, সেক্ষেত্রে অন্য ম্যাচের ফল ও রানরেটের উপর নির্ভর করতে হবে।

২২৮ রানের লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমন ফিরিয়ে দেন জাইদা জেমসকে। দলের ৬০ রানে কিয়ানা উইকেট নেন রাবেয়া খান। উইকেট পড়লেও রানের চাকা ক্যারিবিয়ানদের সচল ছিলো।

মাঝের ওভারে রান আনতে থাকেন হেইলি ম্যাথিউস। মারুফার বলে ৩৩ করে তার বিদায় আশা জাগায় বাংলাদেশকে।  অভিজ্ঞ স্টেফানি নেমে সাবলীল ব্যাটে করেন ৩৬ রান। মারুফা তাকেও থামান তবে হেনরি বিপদ বাড়তে দেননি তাদের দলের। শাকিবা গাজনাবিকে নিয়ে দলের জয়ের কাছে চলে যান। শেষ দিকে আরও দুই উইকেট পড়লেও খেলায় দোলাচল তেমন ছিলো না।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে সোবহানা মুশতারিকে হারালেও ফারজানা-সুপ্তা মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। এই জুটির পর আচমকা পথ হারায় বাংলাদেশ। ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পড়া দল দুইশো পার হয় নাহিদা আক্তার ও রাবেয়ার ঝলকে। তারা লড়াইয়ে পুঁজি আনলেও শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি।

আগামী ১৯ এপ্রিল বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

Comments

The Daily Star  | English

Doubts growing about interim govt’s capability to govern: Tarique

"If we observe recent developments, doubts are gradually growing among various sections of people and professionals for various reasons about the interim government's ability to carry out its duties."

1h ago