প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের লিড পেল জিম্বাবুয়ে

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮২ রানের বড় লিডই নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামসের ফিফটিতে কাঙ্ক্ষিত লিড পায় দলটি। যদিও এই লিড হতে পারতো আরও বড়। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। শেষ পাঁচটি উইকেট তুলে নেন এই অলরাউন্ডার।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৯১ রানে।

এদিন দ্বিতীয় সেশন শেষেই ১৮ রানে এগিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। চা বিরতির পর বাকি চার উইকেট হারিয়ে ৬০ রান যোগ করে দলটি। যেখানে লেজের ব্যাটার রিচার্ড এনগাভারা খেলেছেন হার না মানা ২৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১০ নম্বর ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানিও খেলেছেন ১৭ রানের কার্যকরী ইনিংস।

জিম্বাবুয়ে যখন বড় লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন বল হাতে জ্বলে ওঠেন মিরাজ। তুলে নেন ফাইফার। সেট ব্যাটার উইলিয়ামসকে তুলে উইকেট প্রাপ্তির শুরু তার। এরপর তুলে নেন চোখ রাঙ্গানো নিয়াশা মায়াভোকেও। পরে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, মুজারাবানি ও ভিক্টর নিয়াউচিকে তুলে টেস্ট ক্যারিয়ারে একাদশ বারের মতো পাঁচ উইকেট পান মিরাজ।

চা-বিরতির পরপরই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। মিরাজের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন মায়াভো। ভাঙে ৭২ বল স্থায়ী ২৫ রানের জুটি। পরের ওভারে মাসাকাদজাকে ফেরান এই অলরাউন্ডার। বড় শটের চেষ্টায় শর্ট কাভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দেন মাসাকাদজা।

এরপর এনগাভারার সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুজারাবানি। ৩৮ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তবে মুজারাবানিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন মিরাজ। আর বড় শট খেলার চেষ্টায় মিরাজের বলে আকাশে উঠিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিয়াউচি।

সকালে আগের দিনের বিনা উইকেটে ৬৭ রানে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে এদিনের শুরুতে নাহিদ রানার বোলিং তোপে পড়ে। তার গতিময় বাউন্সারে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ক্যাচ দেন ১৮ রান করা বেন কারান। এরপর সেট ব্যাটার ব্রায়ান বেনেট নাহিদের বাড়তি লাফানো বল কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন কিপারের হাতে। ৬৪ বলে ৫৭ করে বিদায় নেন তিনি।

পরের ওভারে হাসান মাহমুদের ইনস্যুয়িংঙ্গারে নিক ওয়েলেকের (২) স্টাম্প উপড়ে যায়। এরপর জুটি বাঁধেন সফরকারীদের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন। সেশনের শেষ দিকে নাহিদ বোলিংয়ে ফিরে তুলে নেন আরভিনকে (৮)।

লাঞ্চের পর নেমে বেশ ভালোভাবেই এগুতে থাকেন উইলিয়ামস। ওয়েসলি মাধভেরেকে নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন মূল্যবান ৪৮ রান। পেসার খালেদ আহমেদ তার নতুন স্পেলে ফিরে ভাঙেন জুটি। খালেদের বল থার্ড ম্যানে পাঠাতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন মাধভেরে (২৪)।

ফিফটি পেরিয়ে দলের লিড এনে নিয়াশা মায়াভুকে নিয়ে এরপর জুটির চেষ্টায় ছিলেন উইলিয়ামস। লিড নেয়ার পর পরই ফিরে যান তিনি। বলা ভালো অনেকটা নিজের উইকেট ছুঁড়ে দেন এই ব্যাটার। মেহেদী হাসান মিরাজকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা পেটাতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করে দেন সহজ ক্যাচ। ১০৮ বলে থামেন ৫৯ করে।

Comments

The Daily Star  | English

‘People's will, not mine’

Yunus tells Malaysia's Bernama why he stepped into Bangladesh's political hot seat

10h ago