আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি: বার্সেলোনা কোচ

গত মৌসুম শিরোপাহীন কাটলেও এবার বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের সুযোগ। তবে মৌসুমের শেষ দিকে এসে কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য। ঠাঁসা সূচিতে খেলোয়াড়দের চোট যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ঠিকঠাক ভাবে সবকিছু করতে পারলে বার্সেলোনা যেকোনো দলকেই হারাতে পারে বলে জানান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

আগামী রোববার কোপা দেল রে'র ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এর আগে আগামীকাল বুধবার তারা মাঠে নামবে মায়োর্কার বিপক্ষে। ম্যাচে আগে নিজেদের নিয়ে আত্মসমালোচনা করলেও দলটি পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত বলে জানান বার্সা কোচ।

একই সঙ্গে শিষ্যদের সতর্ক করে সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক বলেছেন, 'আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। তবে যদি আমরা ঠিকভাবে না খেলি, যেমনটা সেল্তার বিপক্ষে হয়েছে, তাহলে বিষয়টা কঠিন হয়ে যাবে। ডর্টমুন্ড আর সেল্তার বিপক্ষে যা হয়েছে, তা প্রমাণ করে যে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।'

'আমরা জানি আমাদের কী হচ্ছে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলো দেখলেই বোঝা যায়—এটা সহজ না। প্রতিপক্ষকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হারানো কঠিন। লা লিগায় দারুণ সব দল আছে। আমি চাই না পয়েন্ট হারাতে, কিন্তু খেলতেই হবে,' যোগ করেন এই কোচ।

সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গেলেও এক পর্যায়ে ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। তবে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। ম্যাচটি নিজেদের জন্য সঠিক বার্তা বলে মনে করেন কোচ, 'এই ম্যাচটাই আমাদের জাগিয়ে দিয়েছে যে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করা দরকার। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত পথটা দীর্ঘ।' একই সঙ্গে বলেন, 'রিয়াল মাদ্রিদও তাদের লক্ষ্য পূরণে সর্বোচ্চটা দিতে চাইবে।'

গোটা দল নিয়ে তার প্রত্যাশা তুলে ধরেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা নিজেদের দিকেই তাকাই। প্রতি ম্যাচে উন্নতি করতে হবে। ডর্টমুন্ড আর সেল্তার বিপক্ষে যা হয়েছে, তা প্রমাণ করে আমরা ভালো খেলতে চাই। আমাদের এমন মান আছে, যাতে যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব—শুধু আমাদের সঠিকভাবে খেলতে হবে। সেল্তার বিপক্ষে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি, এখন আমি দল থেকে ইতিবাচক অনুভব পাচ্ছি। দলটি এখন ভালো অবস্থায় আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago