তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনাম কি বাংলাদেশকে টেক্কা দিতে পারবে?

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। এর পেছনে রয়েছে বৈশ্বিক বাণিজ্যে পরিবর্তন, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতার সম্মিলিত প্রভাব।
ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ নেতারা এবং বিশ্লেষকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন— বাংলাদেশ কি আদৌ তার বৈশ্বিক অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ এখন তার রপ্তানি স্থিতিশীলতা এবং অন্য দেশের সঙ্গে দর কষাকষি করার সক্ষমতার এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের পোশাক খাত অনেকদিন ধরে সস্তা শ্রমে তৈরি কম দামের পণ্য বিদেশে বিক্রি করে টিকে ছিল। কিন্তু এখন শুল্ক বাড়ায় এই খাত বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
অনেক শিল্প নেতাই ভিয়েতনামের উত্থানকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। যদিও ভিয়েতনামের ওপর আরও বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৩৭ শতাংশের তুলনায় সেখানে ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবুও আশঙ্কা বাড়ছে যে, বাংলাদেশের দুর্বল বাণিজ্য কূটনীতি এবং মূল্য সংযোজন পণ্যের ধীরগতির কারণে ভিয়েতনাম বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, 'যদি আমরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিই, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব না।'
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতে, বাংলাদেশ ৩৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে যা বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানির ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। কেবলমাত্র চীন এক্ষেত্রে এগিয়ে। যাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৬৫ বিলিয়ন ডলার এবং বাজারের অংশীদারত্ব ছিল ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ভিয়েতনাম ৩১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে, যা বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানির ৬ শতাংশ।
তবে এই র্যাঙ্কিংগুলো ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের প্রতিফলন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ২০২৪ সালের তথ্য – যা এখনও প্রকাশিত হয়নি। সেখানে পরিবর্তিত পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট চিত্র উঠে আসতে পারে। এরই মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়েছে, কারণ ডব্লিউটিও তথ্য গরমিলের কারণে বাংলাদেশের পূর্বে প্রকাশিত রপ্তানি পরিসংখ্যান ৯ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে সংশোধন করেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে পাঠানো তথ্যে এই গরমিল ছিল, যা পরিসংখ্যানের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
তবে সংশোধনের পরও বাংলাদেশের কিছু কাঠামোগত শক্তি এখনো রয়ে গেছে। যেমন- স্বল্প খরচে বড় শ্রমশক্তি, একটি বৃহৎ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের শ্রমশক্তি, তার ২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক টেক্সটাইল খাতের মাধ্যমে শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, সার্টিফাইড সবুজ কারখানায় বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ডে ক্রমবর্ধমান সম্মতি।
তবে এসব ইতিবাচক দিক ধীরে ধীরে চাপা পড়ছে দীর্ঘদিনের কিছু দুর্বলতার কারণে—যার মধ্যে আছে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, উৎপাদন ও সরবরাহ সময় বেশি, উচ্চ ঋণ ব্যয়, প্রশাসনিক জটিলতা এবং কম মূল্যের পোশাকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা।
বাংলাদেশকে ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে আলাদা করে শুধু উৎপাদন খরচ নয়, বরং কৌশলগত দিকনির্দেশনাও। ভিয়েতনাম ধীরে ধীরে মূল্য সংযোজনের ধারায় এগিয়ে গেছে—পণ্যে বৈচিত্র্য এনেছে এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সুফল নিয়ে বিভিন্ন বাজারে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে। এখন যখন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দু'দেশই উচ্চ হারে শুল্কের মুখে পড়েছে, তখন মূল পার্থক্য নির্ধারণ করবে—কে বেশি দক্ষতার সঙ্গে উচ্চমূল্য সংযোজন করা পণ্য দিতে পারে এবং কে কূটনৈতিকভাবে বাণিজ্যিক আলোচনা চালাতে পারে।
যদি বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকর বাণিজ্য সম্পৃক্ততা নিশ্চিত না করতে পারে, তাহলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে দেশের অবস্থান ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে পারে। এটি হঠাৎ ধসের মাধ্যমে নয়, বরং প্রতিযোগিতা হারানো এবং সম্ভাবনা হাতছাড়া হওয়ার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ঘটবে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী স্বীকার করেছেন যদি বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান না হয়, তবে ভিয়েতনাম একসময় বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে তিনি মনে করেন অন্তত এখন বাংলাদেশ তার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রেখেছে।
'ট্রাম্প প্রশাসন ৩৭ শতাংশে শুল্ক নির্ধারণ করেছে, বাংলাদেশ তার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রেখেছে কারণ একই বাজারে ভিয়েতনামের জন্য কার্যকর শুল্ক হার প্রায় ১০ শতাংশ বেশি,' তিনি বলেন।
তপন চৌধুরী রপ্তানিকারকদের মূল্যচাপ সহ্য করার জন্য উচ্চমূল্যের পণ্যের দিকে ঝুঁকতে আহ্বান জানান।
'আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো সবসময় সাধারণ পণ্যের জন্য কম দাম দিয়ে থাকে। রপ্তানিকারকদের উচিত সঠিক কৌশল গ্রহণ করা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য ক্রেতা নির্বাচনে সচেতন হওয়া।
গভীর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির বিষয়টি প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করে যায়।
তৈরি পোশাক খাতের সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হলেও রুবানা সতর্ক করে বলেন, কেবল আশাবাদই যথেষ্ট নয়।
তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র বেসিক গার্মেন্টসের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির উপর নির্ভর করা এখন আর কার্যকর কৌশল নয়।'
'এই খাতকে তার পণ্যের ভিত্তি বৈচিত্র্যময় করতে হবে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে।' তিনি মানবসৃষ্ট ফাইবার (এমএমএফ) পোশাকের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন, যেখানে বাংলাদেশ প্রতিযোগীদের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
'যদি আমরা সক্রিয় অর্থনৈতিক কূটনীতিতে যুক্ত হতে না পারি, তবে বাংলাদেশ তার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা হারাবে, বলে সতর্ক করেন তিনি। সেইসঙ্গে অনুকূল বাণিজ্য শর্ত নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান জানান।
জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের রপ্তানি পরিসংখ্যানে গার্মেন্টসের পাশাপাশি টেক্সটাইলও অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেখানে বাংলাদেশ শুধুমাত্র তৈরি পোশাকের (গার্মেন্টস) তথ্য দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনাম গত বছর ৩৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস একত্রে রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের টেক্সটাইলও রয়েছে, তিনি বলেন। যদি আমরা সেই হিসাব থেকে গার্মেন্টস বাদ দিই তাহলে ভিয়েতনামের বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে আরও বেশি সময় লাগবে, যোগ করেন তিনি।
তা সত্ত্বেও, হাসান দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। 'আমাদের নতুন বাজার খুঁজতে হবে, পণ্য এবং গন্তব্য উভয় ক্ষেত্রেই বৈচিত্র্য আনতে হবে, প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে এবং আরও বেশি মূল্য সংযোজনকারী পোশাক তৈরি করতে হবে। এর পাশাপাশি শুল্ক পরিষেবা, বন্দর কার্যক্রম, গ্যাস সরবরাহ এবং ইউটিলিটি পরিষেবা উন্নত করতে হবে এবং অ-শুল্ক বাধা দূর করতে হবে।'
তবে অন্যান্য রপ্তানিকারকরা আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা উড়িয়ে দেন।
বছরের পর বছর ধরে মানুষ বলছে ভিয়েতনাম আমাদের ছাড়িয়ে যাবে, কিন্তু তা ঘটেনি। বাংলাদেশ এখনো প্রতিযোগিতামূলক এবং ক্রমগতভাবে তা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, 'পারফরম্যান্সের চেয়ে র্যাঙ্কিং কম গুরুত্বপূর্ণ। বাজারের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে আমরা আরও উপরে উঠতে পারি।'
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রেখেছে। এটি বর্তমানে ইইউতে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক, যার বার্ষিক চালান ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং বার্ষিক রপ্তানি ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কানাডা এবং কিছু উদীয়মান বাজারে, বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে তার প্রভাব বাড়িয়েছে, যেখানে বাজারের অংশীদারত্ব যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে ২০ শতাংশেরও বেশি দাঁড়িয়েছে।
তবুও আসন্ন হুমকির শঙ্কা থেকেই যায়। এভিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী দুটি তাৎক্ষণিক ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করেছেন: ট্রাম্পের শুল্ক এবং ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের আসন্ন স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তরণ।
তিনি মার্কিন শুল্ক মোকাবিলায় সক্রিয় কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। 'বাংলাদেশকে ট্রাম্পের শুল্ক রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের তাৎক্ষণিক প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য সরকারকে সময়োপযোগী নীতিগত পদক্ষেপ নিতে হবে।'
যদিও ইইউ, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো ২০২৬ সালের পরও শুল্কমুক্ত সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আনোয়ার-উল-আলম যুক্তি দেন যে বাংলাদেশের আত্মতুষ্টিতে থাকা উচিত নয়। তিনি প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা এবং চীন, ভারত এবং জাপানের মতো এশিয়ান বাজারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, কৌশলগতভাবে অবস্থান নিলে, মার্কিন শুল্ক চাপের মুখে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সোর্সিং প্যাটার্ন সরে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশ নতুন অর্ডার আকর্ষণ করতে পারে। 'কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে আমাদের কূটনৈতিক এবং কৌশলগত পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করবে।'
বাংলাদেশ ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান সতর্ক করে বলেন, ১০ শতাংশ শুল্কের বোঝাও অনেক স্থানীয় রপ্তানিকারকদের জন্য বহন করা কঠিন হতে পারে। তিনি ইইউর সাথে ভিয়েতনামের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সুবিধাটির কথাও উল্লেখ করেন, বলেন যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ইউরোপীয় বাজারে তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকও এই উদ্বেগের সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, 'ইইউ-ভিয়েতনাম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আওতায় ইউরোপে ভিয়েতনামের রপ্তানি বাড়বে। ইতোমধ্যে দেশটির উপস্থিতি মার্কিন ও কানাডিয়ান বাজারেও বাড়ছে।'
রাজ্জাক আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত পার্থক্যের দিকেও ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, তিনি বলেন, ভিয়েতনামের পোশাক খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অনেকাংশেই চীনা বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল—টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে দেশটিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬১ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে, বাংলাদেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলারের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে বিদেশি বিনিয়োগ ৫ শতাংশেরও কম।
'এটি বাংলাদেশের জন্য তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক,' তিনি বলেন।
তার মতে, মার্কিন ক্রেতারা চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের গভীর উৎপাদন সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক থাকতে পারেন।
তবে তিনি সতর্ক করেন, চীনের রপ্তানি কমে যাওয়ার ফলে যে সুযোগ তৈরি হতে পারে, তা কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে একটি বড় দুর্বলতা দূর করতে হবে—এমএমএফ (ম্যান-মেইড ফাইবার) ভিত্তিক পোশাক তৈরির সীমিত সক্ষমতা। 'যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রে চীনের ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে চায়, তাদের এমএমএফ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতেই হবে,' বলেন তিনি।
Comments