নিশ্চিত করুন নির্বাচনে যাতে কারো দ্বারা ব্যবহৃত না হন: পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা

পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সৌজন্যে

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কেউ যেন পুলিশকে 'ব্যবহার' করতে না পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, 'আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে জাতির উদ্দেশে একাধিক ভাষণে বলেছি, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের প্রতি সমান আচরণ ও ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা আপনাদের ও আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব।'

'মনে রাখবেন, কোনো ব্যক্তি যদি অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, তার দ্বারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুতরাং নিশ্চিত করুন যাতে কারো দ্বারা (আপনারা) ব্যবহৃত না হন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্রত হিসেবে নির্বাচনে নিজেদেরকে নিয়োজিত করবেন,' যোগ করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বিগত ১৬ বছরে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেটা কমিয়ে আনা। পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা। আমি বলব, এটা কঠিন না। একবার আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি হলে এ বন্ধন অটুট থাকবে। আমাদের সমাজ যে একটা সুশৃঙ্খল সমাজ, সেটা প্রমাণিত হবে।'

তিনি বলেন, 'সবাই মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে, যেন জনগণ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলতে পারি; মানুষ পুলিশকে দেখলেই বন্ধু হিসেবে বরণ করে নিতে এগিয়ে আসে এবং কোনো বিরূপ মনোভাব যেন না থাকে।'

তিনি আরও বলেন, 'মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে সব স্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিশ্বাস অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। এটা আপনাদেরকেই করতে হবে। আর সরকারের দিক থেকে যা যা প্রয়োজন তা বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সে দায়িত্ব গ্রহণ করছি।'

পুলিশের সংস্কারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে কয়েকটি বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rose 9% in August

However, August’s inflow was 2.22 percent lower than the previous month

20m ago