পুতুলের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে রাজধানীর গুলশানে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া, ফ্ল্যাটটির দেখাশোনার জন্য একজন রিসিভার নিয়োগ চেয়ে দুদকের করা আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আবেদনটি দাখিল করেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম।
দুদকের পক্ষে আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রেজাউল ইসলাম।
গত ২৭ এপ্রিল একই আদালত পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে পুতুলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
গত ১০ এপ্রিল এই মামলায় আদালত শেখ হাসিনা, পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওই দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ৪ মে'র মধ্যে পরোয়ানা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এই ১৮ জনকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একইসঙ্গে তিনি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
দুদকের নথি অনুযায়ী, রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে নিয়ম লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনা নিজে, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে পূর্বাচলের কূটনৈতিক জোনের সেক্টর-২৭-এ ছয়টি প্লট (প্রতিটি ১০ কাঠা করে) বরাদ্দ নেন।
এই প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুদক ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করে।
শেখ হাসিনা, পুতুলসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলাটি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত ১২ জানুয়ারি দায়ের করা হয়।
Comments