টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ বসুন্ধরারই

ঝড় ও আলোকস্বল্পতার কারণে বাকি থাকা অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিটের খেলা গড়াল মাঠে। কোনো দলই গোল করতে না পারায় ফল নির্ধারণের জন্য দ্বারস্থ হতে হলো টাইব্রেকারের। সেখানে নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হলেন গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। তার নৈপুণ্যে আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা ধরে রাখল বসুন্ধরা কিংস।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে ফের গড়ানো ঘটনাবহুল ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ৫-৩ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা। এই প্রতিযোগিতায় এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থ শিরোপা।
এক সপ্তাহ আগে দুই দলের নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল। সেদিন রেফারি ১১টি হলুদ কার্ডের সঙ্গে দেখিয়েছিলেন একটি লাল কার্ড। ওই স্থগিত অবস্থা থেকেই আবার শুরু হয় ম্যাচ। ১০ জনের বসুন্ধরার বিপক্ষে ১১ জন নিয়ে নামে আবাহনী। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যে জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেনি কেউই। ফলে শিরোপার ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে বসুন্ধরার পাঁচ জনই পান জালের দেখা। তারা হলেন জোনাথন ফার্নান্দেস, শেখ মোরসালিন, তপু বর্মণ, ইনসান আলি ও দেসিয়েল সান্তোস। অন্যদিকে, আবাহনীর রাফায়েল অগাস্তো, সবুজ হোসেন ও মিরাজুল ইসলাম লক্ষ্যভেদ করলেও দ্বিতীয় শট নেওয়া এমেকা ওগবাহ পারেননি। তার স্পট-কিক বামদিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন শ্রাবণ। এরপর ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যেভাবে উদযাপন করেছিলেন, সেভাবেই কাঁধ ঝাঁকান তিনি।
মিরাজুলের নেওয়া চতুর্থ শটও প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু আগেই তিনি গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় ফের স্পট-কিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। মাঠে ঢুকে সেটার প্রতিবাদ করে হলুদ কার্ড দেখেন বসুন্ধরার গোলকিপিং কোচ নুরুজ্জামান নয়ন। দ্বিতীয় দফায় মিরাজুল গোল করলেও তা শেষমেশ কাজে আসেনি।
চলতি মৌসুমে তৃতীয় দেখায় প্রথমবারের মতো আবাহনীকে হারাতে পারল বসুন্ধরা। এর আগে আকাশি-নীলদের কাছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ১-০ গোলে ও ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাস্ত হয়েছিল কিংসরা।
এবারের হারে আবাহনীর ফেডারেশন কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অপেক্ষা আরও বাড়ল। এই প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন তারা। শেষবার দলটি ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল ২০২১-২২ মৌসুমে।
Comments