বগুড়ায় সারজিসের বক্তব্যের সময় ২ পক্ষের মারামারি, আহত অন্তত ৪

বগুড়ায় এনসিপির সভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা মারামারি হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার বিকেলে শহরের মিউনিসিপ্যালিটি পার্কের টিটু অডিটোরিয়ামের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

মারামারিতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন এবং একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বগুড়ায় এনসিপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

ছুরিকাঘাতে আহত জুনায়েদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এনসিপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কর্মসূচি করছে। কিন্তু তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ ও জামায়াতও ছিল। আমরা সরজিস আলমের কাছে বিষয়টি জানাতে গিয়েছিলাম কিন্তু এনসিপির নেতাকর্মীরা আমাদের মারধর করে। তারা আমাকে ছুরিকাঘাত করে।'

জানতে চাইলে এ অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ও এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাকিব মাহাদী বলেন, 'সারজিস আলম যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কয়েকজন আমাদের অনুষ্ঠান পণ্ড করতে এসেছিল। তারপর তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। রাস্তায় কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে।'

জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈন উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০-১৫ জনের একটি দল স্লোগান দিয়ে সেখানে গেলে আয়োজকরা তাদের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেন। পরে রাস্তায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।'

'তবে, পরে আমরা জানতে পারি যে তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন,' বলেন তিনি।

ওসি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। 

সারজিস আলম তার বক্তব্যে বলেন, 'আওয়ামী লীগ শুধু রক্তের উপর দাঁড়িয়েছিল ব্যাপারটা এমন নয়, আওয়ামী লীগ পুরো বাংলাদেশে জেলার নাম ধরে, ব্যক্তির নাম ধরে, দলের নাম ধরে বৈষম্য করেছে। আমারা আমাদের এই জায়গা থেকে স্পষ্ট করে বলব খুনি হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী প্লাটফর্ম আওয়ামী লীগ এই বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারে না।'

Comments

The Daily Star  | English
Sector-wise subsidy and incentive allocation

Subsidy load swells despite weak revenue

The government’s target to provide subsidies and incentives amounting to Tk 125,741 crore in fiscal year 2025-26 is creating high pressure on fund mobilisation amid a challenging macroeconomic situation.

13h ago