যেখানে বড় সুযোগ দেখেন লিটন

Litton Das
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

তিন সংস্করণেই এর আগে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেছেন লিটন দাস। তবে সবগুলোই ছিলো ঠেকার কাজ, মানে পোশাকি ভাষায় যাকে বলে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন। পূর্ণ অধিনায়কত্বের লড়াইয়ে থাকলেও কেন যেন পরে তার নামটা চলে যায় দূরে। এবার অন্তত এক সংস্করণে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার বড় সুযোগ পেয়ে ভীষণ আশাবাদী তিনি।

আগামী শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে লিটনের স্থায়ী অধিনায়কত্বের পর্ব। যদিও ঠিক আগের টি-টোয়েন্টি সিরিজেই তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক তবু এবারের নতুন শুরুই বলতে হচ্ছে।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে লিটন জানালেন, এখন কেবল আর নির্দিষ্ট সিরিজ নিয়ে নয়, তার পরিকল্পনার পরিসর হবে আরও বিস্তৃত,  'পার্থক্য (আগের অধিনায়কত্ব থেকে) বলতে আমার তখন পরিকল্পনা হয়ত ছিলো তাৎক্ষণিক সিরিজের জন্য ছিলো। যেহেতু দীর্ঘ সময়ের একটা সুযোগ এসেছে। এক্ষেত্রে আমার চিন্তা ভবিষ্যৎ কেন্দ্রিক থাকবে। আমি জানি যে একটা লক্ষ্য আছে। অবশ্যই সিরিজ তো থাকবেই, মাথায় থাকবে যে আমি সামনের দিকেও দেখতে পারি।'

সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন লিটন, ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান তামিম ইকবাল না থাকায়। টি-টোয়েন্টিতেও নাজমুল হোসেন শান্ত বা অন্য কারো অনুপস্থিতিতে পালন করেন দায়িত্ব। প্রতিবারই তার ক্রিকেটীয় চিন্তার জগতের ছাপ মিলেছে মাঠে।

সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নেতৃত্বে নজর কেড়ে প্রশংসা কুড়ান বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের। দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ায় তাই আশাবাদে ভরপুর এখন তিনি, 'স্বাভাবিক, এটা তো ইতিবাচকই। কারণ আপনি যখন একটা লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পাবেন আপনি অনেক কিছু চিন্তা করতে পারবেন। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে এই সময়ের ভেতরে আমি আমার দলকে গুছিয়ে নিতে পারি। আমি অনেক আশাবাদী এটা নিয়ে যে লম্বা সময়ের একটা চিন্তা-ধারা থাকলে..। আমার হাতে যে খেলোয়াড়গুলো আছে ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।'

লিটনের নেতৃত্বের পথে বড় শত্রু হতে পারে তার ব্যাটিং। এমনিতে নিজের সেরা ছন্দে থাকলে তার মতন দৃষ্টিনন্দন ব্যাটার খুব কম। প্রভাব বিস্তার করা অনেক ইনিংস তিনি খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু অধারাবিহকতা লিটনকে বারবারই ফেলেছে প্রশ্নের মুখে। ব্যাট যদি কথা না বলে তাহলে অধিনায়ক লিটন স্বস্তিতে থাকবেন না। এই বাস্তবতা মেনে এটাকে চাপ হিসেবে না দেখে নির্ভার পথে সাফল্য আনতে চান তিনি,  'সবশেষ মনে হয় আমি টি-টোয়েন্টি খেলেছি ডিসেম্বরে। এর ভেতরে কোনো একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি। হ্যাঁ, আমি একটা খারাপ সময় পার করছিলাম যেখানে আমার ব্যাটে রান হচ্ছিল না। তারপরে কিন্তু আমি অনেক চেষ্টা করেছি বিপিএল, ডিপিএলেও অনেক চেষ্টা করেছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি এটুকুই বলতে পারি যেকোনো খেলোয়াড়ই সর্বোচ্চ তার চেষ্টাটাই করতে পারে। কিছু কিছু সময় থাকে এমন যে আপনি অনেক চেষ্টা করেও হয়ত ফল পাবেন না। কিন্তু বিপরীত দিক দেখলে এমনও হয় কোনো ক্রিকেটারের একটা বা দুইটা সিরিজ খারাপ খেলে তারপর আবার কামব্যাক করে। তো আমি ওই চেষ্টাটাই করব। আমি যেন আবার আমার যে খেলার ধরন বা প্যাটার্ন—আমি যে ধরনের খেলোয়াড় সেটা যেন বাংলাদেশকে দিতে পারি। আমি পারফর্ম করলে অবশ্যই বাংলাদেশ দলেও অনেক সহায়তা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

7h ago