আবারও নব্বইয়ের ঘরে আউট লিটন, তালিকায় সবার উপরে মুশফিক

তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ২৫ ইনিংস পর ফিফটি পেলেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে দুঃসময় পেরিয়ে সেঞ্চুরির ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় বিপদ ডেকে আনলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার। টেস্টে আরও একবার নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়লেন তিনি।
বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ৯০ রানে আউট হন লিটন। ১২৩ বল মোকাবিলায় ১১ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি শিকার হন স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের। রিভার্স সুইপে ব্যর্থ হওয়ার পর তার গ্লাভসে লেগে বল উঠে যায় উপরে। ছুটে গিয়ে ক্যাচ হাতে জমান উইকেটরক্ষক কুসল মেন্ডিস। ফলে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
টেস্টে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নব্বইয়ের ঘরে থামেন লিটন। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৯৪ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০২১ সালের জুলাইতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে তিনি সাজঘরে ফেরেন ৯৫ রানে।
লিটনের মতো সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তিনবার করে নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়েছেন বাংলাদেশের আরও দুজন। তারা হলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। দুবার করে এই তেতো স্বাদ পেয়েছেন হাবিবুল বাশার সুমন ও নাসির হোসেন। একবার করে মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, সাদমান ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে এই সংস্করণে নব্বইয়ের ঘরে সবচেয়ে বেশিবার আউট হওয়ার রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের দখলে। তিনি চারবার হাত ছোঁয়া দূরত্বে থাকলেও নাগাল পাননি সেঞ্চুরির, যার তিনটিই চট্টগ্রামে।
প্রথমবার এমন অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা মুশফিকের হয় ২০১০ সালের মার্চে। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৯৫ রান। তিন বছর পর এপ্রিলে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৩ রানে থামেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাজঘরে ফেরেন ৯২ রানে। সবশেষ ২০২১ সালের নভেম্বরে ফের চট্টগ্রামে ৯১ রানে কাটা পড়েন তিনি।
এদিন মুশফিক ও লিটন বিদায় নেন ৯ বলের ব্যবধানে। এর মাঝে বাংলাদেশের খাতায় কোনো রান যোগ হয়নি। মুশফিক ৩৫০ বলে ৯ চারে খেলেন ১৬৩ রানের ইনিংস। লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কল হওয়ায় বদলায়নি মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত।
মুশফিক থামলে ভাঙে ২৬৫ বলে ১৪৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। সঙ্গী হারিয়ে লিটনও টেকেননি। সব মিলিয়ে শেষ বিকালে টপাটপ উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ। মাত্র ২৬ রানের মধ্যে পড়ে ৫ উইকেট। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে টাইগারদের রান ৯ উইকেটে ৪৮৪।
Comments