যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ২ বাড়িতে অগ্নিসংযোগে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ১

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মালিকানাধীন দুইটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

আজ যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও এএফপি এই তথ্য জানায়।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে 'জীবন বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগের' অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে ১টা বেজে ৩৫ মিনিটে দমকলবাহিনী খবর পায়, উত্তর লন্ডনের কেনটিশ টাউনে কিয়ার স্টারমারের পূর্বতন পারিবারিক নিবাসের দরজায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, 'খবর পেয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। আগুনে বাড়ির ফটক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ আহত হয়নি।'

গত বছরের জুলাই মাসে নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণের পর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটেই থাকছেন কিয়ার স্টারমার। তবে তিনি এখনো এই বাড়ির মালিক। তিনি বাড়িটি অন্যদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।

রোববার উত্তর লন্ডনের ইসলিংটনে অন্য একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ফাইল ছবি: এএফপি
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ফাইল ছবি: এএফপি

পুলিশ এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে অ্যাপার্টমেন্টে রূপান্তরিত ওই বাড়িটিও স্টারমারের।

লন্ডনের দমকল বাহিনী জানিয়েছে, এক ব্যক্তিকে ক্রুরা আগুনের ভেতর থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসে। এ সময় তারা শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার যন্ত্র ব্যবহার করেন। বাড়ির ভেতরের একটি সিঁড়ি দিয়ে তাকে বের করে নিয়ে আসা হয়।

একই তদন্তের অংশ হিসেবে ৮ মে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কেনটিশ টাউনে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছে ভোর রাত ৩টার দিকে একটি ছোট গাড়িতে আগুনের ঘটনায় দমকলবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। গাড়িটি যে সড়কে রাখা ছিল, সেই একই সড়কে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির অবস্থান।

স্টারমারের সম্পত্তির ওপর হামলা আসার কারণে পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ড এই মামলার দেখভাল করছে।

'অগ্নিসংযোগের তিন ঘটনাকেই এ মুহূর্তে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে', জানায় পুলিশ।

সোমবার স্টারমারের আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র জানান, 'প্রধানমন্ত্রী জরুরী সেবাদাতাদের তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এ বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। এ কারণে, আমরা আর কোনো মন্তব্য করছি না।'

আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বিবিসিকে বলেন, তিনি এই ঘটনাগুলো নিয়ে ব্রিফিং শুনেছেন তবে এ মুহূর্তে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।

'পুলিশ এসব ঘটনার তদন্ত করছে আর এ বিষয়ে তারা আমার কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবে', যোগ করেন তিনি।

'সব সময়ই এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক। কিন্তু একইসঙ্গে পুলিশের ওপরও আমাদের ভরসা আছে যে তারা ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে'

 

Comments

The Daily Star  | English

What if India and China stop buying Russian oil?

Donald Trump is tightening sanctions loopholes that fund Moscow's war machine. What does a crackdown on Russia's oil trade mean for global markets — and economic heavyweights like China and India?

4h ago