এল ক্লাসিকোর পর ফ্লিকের বার্সায় মুগ্ধ টনি ক্রুস

গত রোববারের এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাদ্রিদের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে কার্যত শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে বার্সেলোনা। একই সঙ্গে ফুটবল বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। এমনকি প্রশংসার সুর শোনা গেছে রিয়াল মাদ্রিদের দিক থেকেও।

সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ও ক্লাবের কিংবদন্তি টনি ক্রুস, একদিকে বার্সাকে প্রশংসা করেছেন, অপরদিকে সমালোচনা করেছেন নিজের পুরনো দল রিয়ালের। জার্মান মিডফিল্ডার বলেন,

'পুরো মৌসুম জুড়েই এই অনুভূতিটাই ছিল। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা রিয়ালের পক্ষে যাবে কি না—সেই সন্দেহ ছিল। সত্যি বলতে, ২-০ এগিয়ে যাওয়াটা আমার কাছে আশীর্বাদ ছিল।'

জাভির অধীনে থাকা গত মৌসুমের বার্সার চেয়ে ফ্লিকের অধীনে বার্সা কতটা বদলে গেছে তাও জানান ক্রুস, 'বার্সার আসল শক্তি এখানেই—ওরা খেলা চালিয়ে যায় এমনভাবে যেন কিছুই ঘটেনি। হারের ভয় বা চাপ কোনোভাবেই বোঝা যায় না। ২-০ পিছিয়ে পড়েও রিয়াল খেলায় আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারেনি—এটাই চোখে পড়েছে।'

'ওদের বল কন্ট্রোলে দারুণ দক্ষতা। রিয়ালের দলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে পারেনি, যেটা ছিল বিস্ময়কর। এগিয়ে গিয়েও আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে পারেনি যা আমার কাছে অবাক লাগছে।' যোগ করেন তিনি।

রিয়ালের ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ক্রুস তুলে ধরেন দলের রক্ষণভাগে ঘাটতি ও মৌসুমের ক্লান্তি, 'প্রায় পুরো ডিফেন্স হারিয়ে ফেলেছে দল। রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলের পেছন থেকে খেলা গড়ে তুলতে হলে সেজন্য বিশেষ ধরনের খেলোয়াড় দরকার। বেশিরভাগ দলই এখন সামনে থেকে চাপ দেয়, আর এ কারণেই সেরা দলের বিপক্ষে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই মৌসুম ছিল অত্যন্ত ক্লান্তিকর। দলের অনেকেই প্রায় পুরো মৌসুম খেলেছে। এমন সব ম্যাচ হেরেছে যেগুলো আগে হারাতো না। রিয়ালে যখন খারাপ যায়, তখন সেটা আরও বেশি অনুভূত হয়।'

এবারের মৌসুম অনেকটা ২০১৯ সালের মতো বলে মনে করেন ক্রুস। যদিও তখন কোচ জিদানের অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল তারা। তবে সেই সময়ের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন তিনি, 'সেই সময়েও এমন এক মৌসুম ছিল, যেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো অনুভূতি ছিল না।'

রিয়াল খুব শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস করেন এই কিংবদন্তি, 'তবে এমনটা হতেই পারে। যদি আমরা গ্রীষ্মে পরিকল্পনা মাফিক দল সাজাই, তাহলে নিশ্চিতভাবে রিয়াল মাদ্রিদ আবার সেই জায়গায় ফিরে যাবে, যেখানে তারা বিগত বছরগুলোতে ছিল এবং যেখানে তারা থাকার যোগ্য।'

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

19h ago