‘হাতিরঝিল ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে উন্নয়ন প্রকল্প চাই না’ ১৫৭ নাগরিকের বিবৃতি

ছবি: বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সৌজন্যে

হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাতিল চেয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্তরের ১৫৭ নাগরিক।

একই দাবিতে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ১৫১তম দিনে গতকাল মঙ্গলবার এ বিবৃতি দেন তারা।

বিবৃতিতে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়ে সংযোগ সড়ক বাতিল করে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল রক্ষা করে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ গতিশীল করার আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপেসওয়ে প্রকল্পটি শুরু থেকেই দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, যা পরিবেশগত সংকট এবং জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যমান পরিবেশ, জলাধার কিংবা প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা নীতি ও আইন লঙ্ঘন করে এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাতিরঝিলের জলাধার ভরাটের মাধ্যমে এর শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছে এবং পান্থকুঞ্জের প্রায় ২ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত নথি অনুযায়ী হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জে নির্মাণকাজ পরিচালনা করার জন্য এই প্রকল্পের কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই বলেও বিবৃতিদাতারা উল্লেখ করেছেন।

তারা বলছেন, আমরা দেখছি গত ডিসেম্বর থেকে একদল তরুণ এই উদ্যান ও জলাধার রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছে। 'বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের' মাধ্যমে গড়ে ওঠা পান্থকুঞ্জ রক্ষার আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে বহু মানুষ ও সংগঠন। অন্তর্বতী সরকারের তিন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পান্থকুঞ্জ পার্কে এসে অঙ্গীকার করেছিলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসবেন। কিন্তু পাঁচ মাসেও সেই সভা না হওয়াতে আমরা বিস্মিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'একটি পার্ক বাঁচাতে কিছু উদ্যমী তরুণ ১৫১ দিন ধরে পার্কেই অবস্থান করে অহিংস পরিবেশবান্ধব লড়াই করে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় এখনো কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় আমরা উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। কারণ এই উদ্যান ও জলাধার ঢাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে তা পাখি ও কিছু টিকে থাকা বুনো প্রাণের আশ্রয়স্থল।

'এক্সপ্রেসওয়ের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পান্থকুঞ্জের মতো পরিবেশগত এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখা এই জনউদ্যানের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যেখানে বলা হয়েছে, "রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন"। এছাড়াও জলাধার ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্কের গাছ কাটা পরিবেশ ও জলাধার সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন,' যোগ করা হয় বিবৃতিতে।

এতে আরও বলা হয়, 'অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রণয়নকৃত "থ্রি-জিরো তত্ত্ব" এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম জিরো নেট কার্বন নিঃসরণ। যেখানে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সেখানে ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন না ঘটিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু গাড়ি মালিকের ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এমন পরিবেশবিধ্বংসী ও জনস্বার্থবিরোধী প্রকল্প গ্রহণ করেছিল সাবেক ফ্যাসিস্ট রেজিম। উন্নয়নের নামে দেশব্যাপী প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।'

বিবৃতিদাতারা বলেন, 'শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত নতুন বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ও জনস্বার্থবিনাশী কোনো কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংস্কারের কর্মসূচি হিসেবে সকল উন্নয়ন প্রকল্পকে পরিবেশগত ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। হাতিরঝিল ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে আমরা কোনো উন্নয়ন প্রকল্প চাই না। আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'

'আশা করি প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিবেন এবং পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল বাঁচিয়ে শুধু একটি সংযোগ সড়ক বাতিল করে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ গতিশীল করবেন। আমরা চাই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসা অন্তর্বতী সরকার পরিবেশ ও গণস্বার্থ বিরোধী প্রকল্প বাতিল করে বাংলাদেশের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। একইসঙ্গে আমরা আশা করব, রাষ্ট্রের যে সংস্কারের অঙ্গীকার এই সরকারের ভিত্তি, তার বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো কাজকে এই সরকার প্রশ্রয় দেবে না। ১৫১ দিন ধরে শীত, গ্রীষ্ম, বৃষ্টি, ইঁদুর, মশা, শব্দ, কালো ধোঁয়া সবকিছু সহ্য করে সাহসী তরুণ প্রজন্ম দেশের একটা পাবলিক সম্পদ জনগণের জন্য বাঁচাতে যে উদাহরণ তৈরি করেছে, আমরা চাই রাষ্ট্র অবিলম্বে তাদের সেই অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবি মেনে নিক,' বলেন বিবৃতিদাতারা।

বিবৃতিতে সই করেছেন:

গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শিরীন প হক, সদস্য, নারীপক্ষ; ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ; আনু মুহাম্মদ, শিক্ষক, লেখক এবং ত্রৈমাসিক জার্নাল 'সর্বজনকথা'র সম্পাদক; ড. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী; নাসির আলী মামুন, আলোকচিত্রশিল্পী; ড. সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; রেহনুমা আহমেদ, নৃবিজ্ঞানী; ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও সদস্য, সংবিধান সংস্কার কমিশন; আলতাফ পারভেজ, লেখক ও গবেষক; খুশী কবির, মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মী; ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী; ড. শায়ের গফুর, স্থপতি ও শিক্ষক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়; স্থপতি প্রফেসর ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, ডিন, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক; শামসী আরা জামান, জেনারেল সেক্রেটারী, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন; স্থপতি সাইফুল হক; ড. আদিল মুহম্মদ খান, নগর পরিকল্পনাবিদ, সভাপতি, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স ও শিক্ষক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. আকতার মাহমুদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; মোস্তফা জামান, শিল্পী ও শিল্পসমালোচক, পরিচালক, চারুকলা বিভাগ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি; ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, লেখক ও গবেষক; উমামা ফাতেমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন; শামারুহ মির্জা, প্রতিষ্ঠাতা, সিতারা'স স্টোরি, ডায়াস্পোরা এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি; হানা শামস আহমেদ, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী; আনুশেহ আনাদিল, সংগীতশিল্পী; আজাদ আবুল কালাম, অভিনেতা ও সভাপতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ; সিমু নাসের, সাংবাদিক ও সংগঠক; ড. মোশাহিদা সুলতানা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; পাভেল পার্থ, লেখক ও গবেষক; খাজা ফাতমি, স্থপতি এবং মানবাধিকার কর্মী; ড. মাসউদ ইমরান, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; রায়হান রাইন, অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. স্বাধীন সেন, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক মানস চৌধুরী, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. সৈয়দ নিজার, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; শরীফ জামিল, সদস্য সচিব, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।

এতে আরও সই করেছেন: ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, শিল্পী; রুবাইয়া আহমেদ, প্রাণী অধিকারকর্মী; সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রযুক্তিবিদ, ভিজিটিং ফেলো, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়; ড. শাহমান মৈশান, গবেষক ও শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী ও শিক্ষক, পাঠশালা, সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট; আমিরুল রাজিব, শিল্প ইতিহাসবিদ ও কিউরেটর, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন; নাঈম উল হাসান, অর্থনীতিবিদ ও সমন্বয়ক, বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন; সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক; তাসলিমা আকতার, আলোকচিত্রী; মোহাম্মদ আলী হায়দার, থিয়েটার ও মিডিয়া কর্মী; মাহা মির্জা, গবেষক ও লেখক, জাবি; ড. নুসরাত চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, আমহার্স্ট কলেজ; নুরুল আলম আতিক, চলচ্চিত্রকার; ড. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, চলচ্চিত্রকার ও শিক্ষক; ড. সেওতি সবুর, শিক্ষক, ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; ড. নাসিমা সেলিম, লেখক ও নৃতাত্ত্বিক; সৈয়দা রতনা, প্রধান সমন্বয়ক, তেঁতুলতলা মাঠ বাঁচাও আন্দোলন; ডালিয়া চাকমা, লেখক, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী; শেহজাদ ম আরেফিন, সিনিয়র লেকচারার, অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক; সতেজ চাকমা, লেখক ও আদিবাসী অধিকারকর্মী; নাসরীন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী; অরূপ রাহী, শিল্পী ও গবেষক; নাজনীন শিফা, শিক্ষক, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি; প্রিয়াংকা কুন্ডু, পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় শিকাগো; আবদুল করিম কিম, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেট; ড. সোমা দে, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জবা তালুকদার, প্রতিনিধি, দুনিয়াদারি আর্কাইভ; মাহবুব আজীজ, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক; গৌরাঙ্গ নন্দী, সাংবাদিক ও পরিবেশ সংগঠক, খুলনা; সাফিয়া আজিজ, সংগঠক, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলন; এডভোকেট মাহবুবুল আলম, আইনজীবী ও নীতি বিশ্লেষক; আতিকুর রহমান, পরিবেশ আন্দোলন সংগঠক, রাজশাহী; অমিত রঞ্জন দে, শিল্পী ও সংগঠক; মাহবুব সুমন, প্রকৌশলী; সোহেল শ্যাম, বন্যপ্রাণী সুরক্ষাকর্মী ও সংগঠক, মৌলভীবাজার; স্থপতি রাকিবুল হক এমিল, প্রাণী অধিকারকর্মী; একতিজা আহসান, সম্পাদক ও কবি; সৈয়দ আলী বিশ্বাস, নৃবিজ্ঞানী ও উন্নয়নবিদ।

আরও সই করেছেন: তৈমুর রেজা, পোস্ট ডক্টরাল ফেলো, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়; মোহাম্মদ তৌকির ইসলাম, চলচ্চিত্রকার; সৌম্য সরকার, নির্মাতা ও শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; সৈয়দ মুহাম্মদ জাকির, শিল্পী ও সদস্য, বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন; ব্রাত্য আমিন, নির্মাতা ও সংগঠক; মোঃ সিরাজুদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক, পান্থকুঞ্জ প্রভাতী সংঘ; মীর শামছুল আলম বাবু, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র গবেষক; কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, চলচ্চিত্রকার; ইমতিয়াজ আলম বেগ, আলোকচিত্রশিল্পী ও সংগঠক; মুয়ীয মাহফুজ, কবি ও সঙ্গীত শিল্পী; বারীশ হাসান চৌধুরী, এক্টিভিস্ট ও পরিবেশবিদ; সাঈদ জুবেরী, কবি ও সাংবাদিক; সুশান্ত সিনহা, জনস্বাস্থ্য গবেষক; অমল আকাশ, শিল্পী ও সংস্কৃতি সংগঠক, সমগীত; বীথি ঘোষ, শিল্পী ও সংস্কৃতি সংগঠক, সমগীত; মীর হুযাইফা আল মামদূহ, গবেষক; জাহিন ফারুক আমিন, লেখক-চলচ্চিত্র নির্মাতা; বরকত হোসেন পলাশ, সিনেমাটোগ্রাফার; শেখ রোকন, মহাসচিব, রিভারাইন পিপল; ইসলাম মোহাম্মদ, প্রাকৃতিক কৃষক ও আন্দোলনকর্মী, মানিকগঞ্জ; ইকবাল হোসেন জুপিটার, কৃষক সংগঠক ও নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন কর্মী, টাংগাইল; সামসুদ্দোজা সাজেন, সাংবাদিক ও গবেষক; আবুল কালাম আল আজাদ, লেখক ও সমন্বয়ক, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন; রাশেদ রাহম, গবেষক; সাবিত্রী হেমব্রম, সাধারণ সম্পাদক, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম, রাজশাহী;  তাহমিদাল জামি, লেখক; সাদ রহমান, লেখক;  ড. সিলভিয়া নাজনীন, শিল্পী, শিক্ষক, গবেষক; সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; হুমায়রা বিলকিস, চলচ্চিত্রকার; মো. আরাফাত রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন ফেডারেশন; মিজানুর রহমান, জনস্বার্থ কর্মী; নাহিদ হাসান, লেখক ও সংগঠক; শাইখ তাসনীম জামাল, সভাপতি, সূর্যকিরণ সমাজকল্যাণ সংস্থা; মো. মিজানুর রহমান, চেয়ারম্যান, সেভ দ্য ন্যাচার এন্ড লাইফ; উপেন রবিদাস, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ রাজশাহী; কফিল আহমেদ, কবি ও সংগীতশিল্পী; মিঠুন রাকসাম, কবি ও সম্পাদক; রাইয়ান রাজী, শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মাইদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; শর্মি বড়ুয়া, প্রভাষক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ফাহমিদুল হক, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, বার্ড কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র; কাজী ফরিদ, অধ্যাপক, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়;  কাজী আবদুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; রাফসান আহমেদ, চলচ্চিত্রকার; সুমন সাজ্জাদ, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; লায়েকা বশীর, শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক; মারিয়া ভূঁইয়া, সহকারী অধ্যাপক, মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; আইনুন নাহার, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; সিরাজাম মুনিরা, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর; কামাল চৌধুরী, অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ইসমাইল সাদী, সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; সজীব তানভীর, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা; মার্জিয়া রহমান, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শেখ নাহিদ নিয়াজী, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; কাজলী সেহরীন ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

অলিউর সান, প্রভাষক, ইংরেজি ও মানববিদ্যা বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; তাহমিনা খানম, সহযোগী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শেহরীন আতাউর খান, সহকারী অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; আকরাম খান, চলচ্চিত্রকার, ঢাকা; কৌশিক আহমেদ, গবেষক, অ্যাক্টিভিস্ট, জনভাষ্য; অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ , যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ফাতেমা শুভ্রা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; সৌমিত জয়দ্বীপ, সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; আসিফ মোহাম্মদ শাহান, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম; নায়রা খান, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শর্মি হোসেন, শিক্ষক, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়; তানিয়াহ্ মাহমুদা তিন্নি, শিক্ষক ও সংস্কৃতি কর্মী, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়ন্সেস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; সাদাফ নূর, গবেষক, লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ইংল্যান্ড; রুশাদ ফরিদী, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; হেমন্ত সাদিক, চলচ্চিত্রকার; আবদুল্লাহ মাহফুজ অভি, চলচ্চিত্রকার; মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, গবেষক ও লেখক; বাকী বিল্লাহ, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী; পূরবী তালুকদার, নারী অধিকার কর্মী; নাজিফা জান্নাত, রাজনৈতিক কর্মী ও মো. জাকীর হোসেন, কৃষক সংগঠক।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students, teachers call off protest after assurances

All the activities of the university will resume from tomorrow

5h ago