বাংলাদেশ থেকে ‘বড় সংখ্যায়’ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

প্রতীকী ছবি

মালয়েশিয়া আগামী বছরগুলোতে 'বড় সংখ্যায়' বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মীদের বেতন, নিরাপত্তা এবং সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার আশ্বাসও দিয়েছে দেশটি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।

আজ মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈঠকে দুটি মূল বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়—মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা এবং একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধীনে নতুন কর্মী পাঠানোর সুশৃঙ্খল রূপরেখা তৈরি করা।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, 'মালয়েশিয়ার চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কর্মীদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।'

সমঝোতার অংশ হিসেবে, মালয়েশিয়া আগামী কয়েক বছরে কয়েক লাখ কর্মী নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মীকে কোনো খরচ ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া এবং উপসচিব মো. সারওয়ার আলমকে নিয়ে গতকাল বুধবার মালয়েশিয়া সফরে যান। শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রতিনিধি দলটি মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে।

আজকের অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করে সারওয়ার আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে ইতিবাচক ফলাফল এসেছে। আগামী ২১ মে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় যৌথ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।'

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে থাকা কর্মীদের বৈধতা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা এ ব্যাপারে আশাবাদী এবং আজ সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।'

কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় সাধারণ কর্মীদের মজুরি মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, 'সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা গেলে এই শ্রমবাজার থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

8h ago