একাদশে নেই সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ, শান্তকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

আগের ম্যাচে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি হাঁকানো পারভেজ হোসেন ইমনকে রাখা হলো না একাদশে। তিনিসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলা চারজন চলে গেলেন বাইরে। একাদশে ফিরলেন এই সংস্করণে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আরও একবার কয়েন ভাগ্য যায়নি বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসের পক্ষে। সোমবার শারজাহতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতেছেন স্বাগতিকদের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। তিনি আগের ম্যাচের মতো এই টি-টোয়েন্টিতেও সফরকারীদের আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়।
বাংলাদেশের একাদশে এসেছে মোট চারটি পরিবর্তন। গত শনিবার ৫৪ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলা পারভেজের সঙ্গে একাদশে নেই সহ-অধিনায়ক শেখ মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ ও আইপিএলে খেলতে যাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের জায়গায় শান্তর পাশাপাশি সুযোগ পেয়েছেন রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম।
২২ বছর বয়সী গতিময় পেসার নাহিদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত সাতটি টেস্ট ও চারটি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ৯১তম ক্রিকেটার তিনি।
একাদশে দুটি বদল এনেছে আরব আমিরাত। রাখা হয়নি মুহাম্মদ জুহাইব ও সঞ্চিত শর্মাকে। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করেছেন আর্যাংশু শর্মা ও সগির খান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনজনের অভিষেকের পর এই ম্যাচে দলটির আরও একজনের অভিষেক হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথমবার খেলতে নামছেন সগির।
গত শনিবার একই ভেন্যুতে ২৭ রানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে টাইগাররা। তাই এবার এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ট্রফি নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে।
দুই দলের মধ্যে এটি দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সংস্করণে একমাত্র আরব আমিরাতের বিপক্ষেই শতভাগ জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত খেলা চারটি ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, তানভির ইসলাম ও নাহিদ রানা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত একাদশ: মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), মুহাম্মদ জোহাইব, আর্যাংশু শর্মা, আলিশান শরাফু, রাহুল চোপড়া, আসিফ খান, ধ্রুব পরাশর, সগির খান, মতিউল্লাহ খান, হায়দার আলী ও মুহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ।
Comments