সেন্ট্রাল রোডে প্রকাশ্যে যুবককে কোপানোর ঘটনা সম্পর্কে যা জানা গেল

গত রোববার রাতে সেন্ট্রাল রোডে এক যুবককে প্রকাশ্যে কোপানোর ঘটনা ঘটে। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

রাজধানীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় প্রকাশ্যে এক যুবককে কোপানোর একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার ছড়িয়ে যাওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে এক যুবক দাঁড়িয়ে আছেন। দুই মোটরসাইকেলে তিনজন সেখানে আসে।

তখন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকজন ওই যুবককে মাটিতে ফেলে দেন এবং মোটরসাইকেলে আসা দুজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।

এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সাইফ হোসেন মুন্না (৩৫) বর্তমানে জাতীয় ট্রমাটোলজি ও অর্থোপেডিক পুনর্বাসন ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন আছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) তারিক লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেন্ট্রাল রোডের ভুতের গলি এলাকার।

আহত ওই এলাকার বাসিন্দা মুন্না বিএনপিকর্মী বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

মুন্নার বোন জামিলা কবির লাবণী পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন।

সহকারী কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, 'ভুক্তভোগীর বোন মামলা করেছেন। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।'

মামলার এফআইআর অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন এমসি শুভ (৩৫), মামুন (৩২), রানা (৩৩), শামীম (৩১) ও মোবারক (৩৩)। তারা সবাই সেন্ট্রাল রোডের ভুতের গলির বাসিন্দা।

মামলার বিবরণীতে মুন্নার ওপর হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলা হয়েছে।

মামলার নথি অনুযায়ী, মামুন মুন্নাকে সেন্ট্রাল রোডের সুমাইয়া হোটেলের সামনে এমসি শুভর সঙ্গে দেখা করতে বলে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্না যখন সেখানে পৌঁছায়, তখন দুই অজ্ঞাত সহযোগীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে আসা একজন তাকে মাটিতে ফেলে দেয়।

মামলায় আরও বলা হয়, তখন এমসি শুভ ও রানা অন্য একটি মোটরসাইকেলে করে আসে এবং মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপায়।

ফুটেজে দেখা গেছে, সেখানে অনেক লোকজন থাকলেও, মুন্নার চিৎকার শোনার পরও কেউ হামলাকারীদের বাধা দেয়নি।

হামলার দুই মিনিটের মধ্যেই রাত ১১টা ৩২ মিনিটের দিকে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পূর্ববর্তী বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় এই হামলা। অভিযুক্তরা সবাই যুবদলের সদস্য।'

'আমরা আরও তথ্য পেয়েছি যে, এদের সঙ্গে এলাকায় সক্রিয় একটি শীর্ষ অপরাধী চক্রের যোগসূত্র থাকতে পারে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago