দুর্নীতি মামলা: হাইকোর্টে জোবাইদা রহমানের আপিল শুনানি কাল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের আপিলের শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
২০২৩ সালে একটি দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জোবাইদা রহমান এই আপিল করেন।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিলটি আজকের কার্যতালিকাভুক্ত হওয়ায় শুনানির জন্য এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
গত ১৪ মে হাইকোর্ট বেঞ্চ জোবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাকে এই মামলায় জামিন দেন।
১৭ বছর পর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসা জোবাইদা রহমানের জামিন আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে।
জোবাইদা রহমানের আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাইকোর্ট এই মামলায় নিম্ন আদালত কর্তৃক জোবাইদার উপর আরোপিত জরিমানা আদায় স্থগিত করেছে এবং নিম্ন আদালত থেকে মামলার রেকর্ড তলব করেছে।
এর আগে ১৩ মে, একই হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলায় ট্রায়াল কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের জন্য তার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করে।
জোবাইদার সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান জানান, আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় বিচারিক আদালত রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করার কথা।
তিনি আরও জানান যে, সরকার গত বছরের ২ অক্টোবর জোবাইদা রহমানের কারাদণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করে, এই শর্তে যে তিনি আত্মসমর্পণের পরে মামলায় আপিল করবেন।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিলম্ব মার্জনার আদেশের পর, জোবাইদার আইনজীবীরা ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তার পক্ষে হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমানকে নয় বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবাইদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়।
তারেককে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
আদালত জোবাইদাকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করে।
রায় অনুযায়ী, তিনি এই অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক মাস কারাগারে থাকতে হবে।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, দুদক কাফরুল থানায় এই দুজনের এবং জোবাইদার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে 'অবৈধ' উপায়ে ৪ দশমিক ৮২ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন এবং তাদের সম্পদ বিবরণীতে ২ দশমিক ১৬ কোটি টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
Comments