আইপিএলে দামের ভারে কাত ভেঙ্কেটেশ?

মূল শক্তির জায়গা ব্যাটিং, মিডিয়াম পেস বলও করতে পারেন। ভেঙ্কেটেশ আইয়ারের স্কিলের বর্ণনা হতে পারে এভাবেই। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি জুতসই খেলোয়াড়। তবে আইপিএলের মেগা নিলামে তাকে নিয়েই পড়ল দুই দলের কাড়াকাড়ি। মজার ব্যাপার কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে ছেড়ে দিয়েও নিলাম থেকে নিল ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে! এমন অবিশ্বাস্য মূল্য পাওয়া ভেঙ্কেটেশ পরে হয়ে গেছেন দলের বোঝা!
আইপিএলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার প্লে অফে উঠতে পারেনি। রোববার তাদের আসর শেষ হয়েছে বড় হারে। শেষ তিন ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি ভেঙ্কেটেশ। আগের যে ১১ ম্যাচ খেলেছেন তাতে তার পারফরম্যান্স ছিলো নাজুক, ফিট থাকলেও হয়ত বাদ পড়তেন। ১১ ম্যাচে খেলে ২০.২৮ গড় আর ১৩৯.২১ স্ট্রাইক রেটে বাঁহাতি ব্যাটার করতে পারেন মোটে ১৪২ রান। বল করার সুযোগ পাননি।
২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপি পেয়ে ১৪২ রান! অর্থাৎ প্রতি রানের ওজন ১৬ লাখ রুপির বেশি! প্রত্যাশার যে ধারেকাছেও তার পারফরম্যান্স ছিলো না, এমনকি নিলামে যে তাকে এত মূল্য দিয়ে ফেরানো ছিলো ভুল তাও এখন আলোচনায়।
আসর শেষে প্রশ্নটা গিয়েছিলো অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের কাছে। ক্রিকেটীয় কূটনৈতিক ভব্যতায় তিনি এড়িয়ে গেছেন তা, 'একজন খেলোয়াড় ২০ কোটির বেশি পাক বা ১ বা ২ কোটি বা ৩ বা ৪ কোটি পাক, মাঠে মানসিকতার পরিবর্তন হয় না, এটাই আসল কথা। খেলোয়াড় হিসেবে আপনি শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণযোগ্য বিষয়গুলির উপর মনোযোগ দেন। এবং আমি অনুভব করেছি ভেঙ্কটেশ আইয়ার আসলে নিয়ন্ত্রণযোগ্য (নিজের খেলা) বিষয়গুলির উপরই মনোযোগ দিচ্ছিলেন।'
মূল্য বেশি পাওয়া নিলামের টেবিলের বিষয়, যা ভেঙ্কেটেশের হাতে ছিলো না। তিনি তার হাতে থাকা কাজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন বলে জানান রাহানে, 'সে কঠোর অনুশীলন করছিল, নিজের সেরাটা দিচ্ছিল, এমনকি খেলার সময়ও, ইনজুরিতে পড়ার আগে সে যে ম্যাচগুলি খেলেছিল। আমার মনে হয় সে সত্যিই ভালো করতে শুরু করেছিল। ব্যাপারটা শুধু এই যে, একটি দল হিসেবে আমাদের ৩-৪ জন খেলোয়াড় ফর্মের বাইরে ছিল। আমার মনে হয় এই বছর ভোগার এটাই একমাত্র কারণ।'
আইপিএলে অবশ্য বেশি চমক জাগানিয়া মূল্য অনেক খেলোয়াড়ই ব্যর্থ হয়েছেন। খেলোয়াড়রা নিজেদের কাজে যতই মনোযোগী হননা কেন 'প্রাইস ট্যাগ' মাঝে মাঝে একটা বাড়তি চাপ হয়ে যাচ্ছে।
Comments