শুটিংয়ে হাতির আক্রমণের গল্প শোনালেন সজল

সজল। ছবি: শেখ মেহেদি মোরশেদ/স্টার

টেলিভিশন নাটক, ওটিটি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুন নূর সজল নতুন একটি সিনেমার শুটিং করছেন। টানা ১০ দিন ধরে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় শুটিং চলছে। এই প্রথম নায়িকা শবনম বুবলির বিপরীতে অভিনয় করছেন তিনি।

'শাপলা শালুক' নামের এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক।

নতুন সিনেমা নিয়ে সজল দ্য ডেইলি স্টারের বলেন, টানা শুটিং করছি। আরও কিছুদিন শুটিং করব। তারপর ঢাকায় ফিরব।

সজল বলেন, শাপলা শালুক অ্যাকশন–রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা। শুটিংয়ে আসার আগে ১০-১২ দিন ফাইট শিখেছি। সেটি অবশ্য চুন্নু ভাইয়ের কাছে। পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি।

'আমার অভিনীত চরিত্রের নাম "পরান"। অনেক চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন চরিত্র। আমার দিক থেকে শতভাগ শ্রম দিচ্ছি কাজটি ভালো করার জন্য। আমার বিশ্বাস ভালো কিছু হবে এবং দর্শকরা নতুন কিছু পাবেন,' বলেন তিনি।

সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলি সম্পর্কে সজল বলেন, বুবলি ভীষণ সিরিয়াস অভিনেত্রী। বুবলির সঙ্গে প্রথমবার সিনেমা করছি, কিন্তু তা মনে হচ্ছে না। কাজের প্রতি তার ভালোবাসা অনেক। অনেক দায়িত্ববানও। বুবলির সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভালো হচ্ছে। শুটিং করছি।

সীমান্ত এলাকায় শুটিং করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কী, জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, খুব ভালোভাবে শুটিং করছি। অন্য কোনো সমস্যা নেই। তবে, বন্য হাতির উৎপাত আছে। শুটিংয়ে বন্য হাতি এসে ভাঙচুর করেছে। আমরা নিরাপদে আছি।

পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুকের পরিচালনায় সজল আগে অবশ্য নাটক করেছেন। কিন্তু, সিনেমা এবারই প্রথম। তিনি বলেন, পরিচালক হিসেবে রাশেদা আক্তার লাজুক অনেক গোছানো। খুব গুছিয়ে কাজ করছেন। তার কাজের ধরন অন্যরকম।

টানা ১০ দিন শুটিং করার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে সজল বলেন, অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক দিন মনে থাকবে। বড় কথা হচ্ছে, ভালো একটি সিনেমা করছি।

কোন দৃশ্য দিয়ে শুটিং শুরু করেছেন? সজল বলেন, সাধারণত প্রথম দৃশ্য দিয়ে শুটিং শুরু হয়। আমরা শেষ দৃশ্য দিয়ে শুটিং শুরু করেছি। এটি ছিল অ্যাকশন দৃশ্য।

সবশেষে সজল বলেন, এই সিনেমার টিম অনেক সুন্দর। ভালো টিমের সঙ্গে কাজ করলে সবকিছু ভালো হয়। আমরাও ভালোভাবে কাজটি করছি। আশা করছি ভালোভাবেই শুটিং শেষ হবে।

উল্লেখ্য, সজল অভিনীত 'জ্বিন থ্রি' মুক্তি পেয়েছে গত রোজার ঈদে।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

10h ago