ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৪ দিনে ৩৪ জনের মৃত্যু

ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইমফালে এক নারী বন্যার হাত থেকে নিজেকে ও তার পোষা কুকুরকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছবি: এএফপি (১ জুন, ২০২৫)
ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইমফালে এক নারী বন্যার হাত থেকে নিজেকে ও তার পোষা কুকুরকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছবি: এএফপি (১ জুন, ২০২৫)

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট প্রবল বন্যা ও ভূমিধসে গত চার দিনে অন্তত ৩৪ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।

আজ সোমবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মতে, আগামী কয়েকদিনও এ ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত রাজ্য সিকিমে আটকে পড়েছেন হাজারো পর্যটক।

সরকারি বিবৃতি মতে, আজ সোমবার আটকে পড়া পর্যটকদের অনেকেই সেখান থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

পাশাপাশি, মেঘালয় রাজ্যের বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া ৫০০র বেশি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ আরও ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবং ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রতি বছরই বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টিপাত থেকে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এসব দুর্যোগে লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহায়।

আসামের একটি গ্রামে বন্যাকবলিত এলাকায় প্রাণরক্ষার চেষ্টায় দুই ব্যক্তি ও তাদের পোষা ছাগল। ছবি: এএফপি (১ জুন, ২০২৫)
আসামের একটি গ্রামে বন্যাকবলিত এলাকায় প্রাণরক্ষার চেষ্টায় দুই ব্যক্তি ও তাদের পোষা ছাগল। ছবি: এএফপি (১ জুন, ২০২৫)

আসামের শিলচর শহরে সড়ক ও বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে।

সংবাদমাধ্যম এএনআইর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, ভেঙে পড়া গাছের গুঁড়িতে সয়লাব হয়ে গেছে সড়কগুলো। 

শিলচরের বাসিন্দা সোনু দেবী এএনআইকে বলেন, 'আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। আমার একটি সন্তান রয়েছে। তার বিছানা পানিতে ডুবে আছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা কী করব? আমরা সারারাত জেগে কাটাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Equipped to inflict heavy casualties

Police arms records show the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

14h ago