আইপিএল

পাঞ্জাবকে অপেক্ষায় রেখে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন কোহলির বেঙ্গালুরু

ছবি: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এক্স

হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ২৩ বলে ৫৫ রানের সমীকরণ। রানবন্যার আসরে তা মেলানো মোটেও অবিশ্বাস্য কোনো দৃশ্য নয়। তবে পরের ৭ বলের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে পাঞ্জাব কিংসকে লড়াই থেকে ছিটকে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কাঙ্ক্ষিত ফল আদায় করে নিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতল দলটি। বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হলো ভারতীয় তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির।

মঙ্গলবার আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত ফাইনালটি ছিল নতুন চ্যাম্পিয়ন খুঁজে নেওয়ার মঞ্চ। কারণ, দুই দলের কোনোটিই আইপিএলের আগের ১৭ আসরে খেলে উঁচিয়ে ধরতে পারেনি ট্রফি। সেখানে শেষ হাসি হেসেছে বেঙ্গালুরু। ৬ রানে জিতেছে তারা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৯০ রান তোলে দলটি। জবাবে অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হওয়া পাঞ্জাব থামে ৭ উইকেটে ১৮৪ রানে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা চালু হয় ২০০৮ সালে। সেই থেকে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৮ আসর কোহলি খেলছেন একই দলের জার্সিতে। বেঙ্গালুরুর সমার্থক শব্দে অনেক আগেই পরিণত হয়েছেন তিনি। কিন্তু একটি বড় শূন্যতা থেকেই গিয়েছিল এতদিন। এখন থেকে অবশ্য আর কোনো অপ্রাপ্তি থাকছে না। চতুর্থবারের চেষ্টায় অবশেষে আইপিএলের শিরোপার স্বাদ পেলেন কোহলি। এর আগে তিনবার (২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬) ফাইনাল খেললেও রানার্সআপ হয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বেঙ্গালুরুর।

জশ হ্যাজলউড ফাইনালের শেষ বলটি করার পরপরই চোখ ছলছল করে ওঠে কোহলির। পরম আকাঙ্ক্ষিত অর্জনের রোমাঞ্চকর অনুভূতিতে তা হওয়া স্বাভাবিক। এরপর হাঁটু গেঁড়ে মাথা নিচু করে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। তাকে ঘিরে তখন সতীর্থদের উল্লাস! মাঠে ঢুকে বন্ধু কোহলিকে আলিঙ্গন করেন বেঙ্গালুরুর সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। উদযাপনে দেখা যায় দলটির আরেক সাবেক তারকা ক্যরিবিয়ান ক্রিস গেইলকে।

ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদানে দুইশর কাছাকাছি রানের পুঁজি মেলে বেঙ্গালুরুর। ওপেনিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন কোহলি। যদিও তিনটি চারে সাজানো ৩৫ বলের ইনিংসটির স্ট্রাইক রেট (১৩৩.৩৩) বেশি ছিল না। অধিনায়ক রজত পতিদার ১৬ বলে ২৬, লিয়াম লিভিংস্টোন ১৫ বলে ২৫, জিতেশ শর্মা ১০ বলে ২৪ ও রোমারিও শেফার্ড ৯ বলে ১৭ রান করলে স্বাস্থ্যবান হয় দলটির সংগ্রহ।

দুইশ ছোঁয়ার আশাও জাগিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ১৬তম থেকে ১৯তম ওভারের মধ্যে ৫৫ রান তোলে তারা। তবে শেষ ওভারে জ্বলে ওঠেন পাঞ্জাবের পেসার আর্শদীপ সিং। তিনি মাত্র ৩ রান দিয়ে সাজঘরে পাঠান শেফার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়া ও ভুবনেশ্বর কুমারকে। তার পাশাপাশি ৩ উইকেট নেন কাইল জেমিসন। দুজনই অবশ্য বাকি তিন বোলারের তুলনায় ছিলেন খরুচে। আর্শদীপ ৪০ ও জেমিসন ৪৮ রান দেন।

রান তাড়ায় ৩০ বলে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পাওয়া পাঞ্জাব একশর মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। প্রিয়াংশ আর্য ১৯ বলে ২৪, প্রভসিমরান সিং ২২ বলে ২৬ ও জশ ইংলিস ২৩ বলে ৩৯ রানে বিদায় নেন। এরপর শশাঙ্ক সিং ফিফটি হাঁকিয়ে একাই লড়াই চালান। কিন্তু তার ইনিংসটি কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পারে। ৩০ বলে ২০৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৬১ রানে তিনি অপরাজিত থাকেন তিনটি চার ও ছয়টি ছক্কা মেরে।

হার-জিতের ব্যবধান মাত্র ৬ রান হলেও পাঞ্জাব ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মূলত কয়েক ওভার আগেই। হ্যাজলউডের শেষ ওভারে শশাঙ্ক তোলেন ২২ রান। তাই মাঝের ওভারগুলোতে আরেকটু দ্রুত রান তুলতে না পারার আক্ষেপ তাদের হতে পারে। আর সেটার মূল কারণ বেঙ্গালুরুর বাঁহাতি স্পিনার ক্রুনাল। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৪.২৫ ইকোনমিতে ১৭ রানে শিকার করেন ২ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus to address nation on eve of Eid-ul-Azha

The nationwide address is scheduled for 7:00pm

1h ago