ঈদের ছুটিতে জমজমাট নিকলী হাওর

গরম আর প্রখর রোদ উপেক্ষা করে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ভিড় করেছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা। বিশাল জলরাশি ও হাওর সংলগ্ন অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করছে তাদের।
আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে নিকলীর বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে।

দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মানুষ ঈদুল আজহার ছুটিতে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়িতে এখানে বেড়াতে আসছেন। পর্যটকদের কেউ বেড়িবাঁধের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছেন, কেউ সাঁতার কাটছেন হাওরের পানিতে। কেউ কেউ গল্পে মেতেছেন। তাদের হাতে রয়েছে ডাব, তালশাঁস, চা বা কফি। অনেকে আবার নৌকায় করে ঘুরছেন হাওরের বুকে।
পলাশ মিয়া ১০ জনের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার মিরপুর থেকে ঘুরতে এসেছেন নিকলীতে।
তিনি বলেন, 'প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি, সমুদ্রের অনুভব পাচ্ছি যেন। হাওরে এসে দুপুরে তাজা মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি। তবে নৌকা ভাড়া অনেক বেশি।'
এদিকে হাওরে নৌ দুর্ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
নিকলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে কর্তব্যরত ফায়ার ফাইটার আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ২৪ জন ফায়ার ফাইটার ডিউটি করছি। এখানে নৌ দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি। আমাদের দুটি অগ্নি জাহাজ, দুটি স্পিডবোট রয়েছে। কেউ দুর্ঘটনাকবলিত হলে উদ্ধারে আমরা প্রস্তত আছি।'
কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলের মধ্যে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান নিকলী বেড়িবাঁধ। স্থানীয়রা জানান, পর্যটকদের আগমনে উপজেলার মাঝিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটছে।
আবেদ আলী (৫০) নিকলী জাম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি বলেন, 'এক ফসলি ধানের জমির কাজ ছাড়া আমাদের পুরো বছর তেমন কোনো কাজ নেই। খুব কষ্ট করে চলতে হয়। এই সময়টাতে ঢাকার লোকেরা ঘুরতে আসেন। আমরা নৌকা ভাড়া দিয়ে সংসার চালাই।'
Comments