দর্শকশূন্য 'অদ্ভুত' পরিবেশে হতাশ চেলসি কোচ

স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৭১ হাজার। কিন্তু ম্যাচের সময় সেখানে মাত্র ২২ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাতে মাঠের বিশাল অংশই দর্শকশূন্য থেকে যায়। এমন পরিবেশকে 'অদ্ভুত' বলে মন্তব্য করেছেন চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা। 

সোমবার আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির মুখোমুখি হয় চেলসি। স্টেডিয়ামের প্রায় ৫০ হাজার খালি আসনের সামনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এমএলএসের দলটিকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ব্লুজরা।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মারেস্কা বলেন, 'পরিবেশটা একটু অদ্ভুত ছিল, স্টেডিয়ামটা প্রায় ফাঁকা ছিল, পূর্ণ ছিল না। আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়... পরিবেশ যেমনই হোক, মানসিকতা আর খেলোয়াড়দের আচরণই আসল বিষয়। আর আজকের ম্যাচেও তারা দেখিয়েছে, তারা কতটা পেশাদার।'

চেলসি কোচ জানান, তারা আরও বেশি দর্শকের আশা করেছিলেন। তবে আগামী ম্যাচে, যেটি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে বড় সংখ্যক দর্শক থাকবে বলে আশা করছেন।

'আমরা এই ম্যাচটির প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম ভিন্ন এক পরিবেশের কথা মাথায় রেখে। তবে সন্দেহ নেই, পরের ম্যাচটি দারুণ হতে চলেছে, কারণ আমরা জানি, ব্রাজিলিয়ান দলগুলো সবসময় বিপুলসংখ্যক সমর্থক নিয়ে আসে,' বলেন মারেস্কা।

উল্লেখ্য, শনিবার লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও আল-আহলির মধ্যকার ম্যাচে ৬০ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। আর রোজ বুলে রোববার পিএসজি ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ৮০ হাজার দর্শক। এমনকি সোমবার হার্ড রক স্টেডিয়ামে বেনফিকার বিপক্ষে বোকা জুনিয়র্সের ম্যাচেও তাদের সমর্থকেরা গর্জে ওঠা এক জমজমাট পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

কিন্তু চেলসির ম্যাচটি স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় এবং একটি কর্মদিবসে হওয়ায় মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়াম এক-তৃতীয়াংশেরও কম পূর্ণ ছিল। যেখানে এমএলএস ক্লাব আটলান্টা ইউনাইটেড তাদের ম্যাচে গড়পড়তায় প্রায় ৪৫ হাজার দর্শক পেয়ে থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সমর্থক-সমৃদ্ধ দল হিসেবে পরিচিত।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেস কোচ স্টিভ চেরান্ডোলো বলেন, 'পিএসজি বনাম অ্যাটলেটিকো ম্যাচ রোজ বুলের মতো বিশাল দর্শকসংখ্যার সামনে হয়। তাই বলা কঠিন, লস অ্যাঞ্জেলেসে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বেশি আগ্রহ আছে, না কি আজকের ম্যাচজোড়াই একটু ব্যতিক্রম।'

তবে এখনই ফিফার এই নতুন সম্প্রসারিত প্রতিযোগিতা নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা উচিত হবে না বলে মনে করেন তিনি, 'প্রতিটি ম্যাচেই দর্শকের সংখ্যা ভিন্ন। তাই এখনই এ নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। পুরো টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। তখনই আমরা সামগ্রিকভাবে বিচার করতে পারবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Rubber imports rose 33% last fiscal year

Bangladesh’s rubber imports surged by 33 percent year-on-year in the fiscal year 2024-25 (FY25), as local industries faced shortages due to supply disruptions from domestic producers.

13h ago